শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাতে বাবার জাগুয়ার মডেলের প্রাইভেটকারের চালকের আসনে ছিলেন আরসালান পারভেজ। চলন্ত অবস্থায় সামনে থাকা মার্সিডিজ বেঞ্জকে সজোরে ধাক্কা দেয়।
এ ঘটনায় আরসালান পারভেজের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরদিন কলকাতা বিমানবন্দরের সামনে একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।
রোববার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় আদালত পারভেজকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এরমধ্যে সোমবার (১৯ আগস্ট) মামলাটি কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে গোয়েন্দা দফতরে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মামলার প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ জানায়, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো একরকম অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল পারভেজের। ট্রাফিক আইন না মানা, মাত্রাতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর অভিযোগে গত নয় মাসে কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় তার বিরুদ্ধে ৪৩টি মামলা দায়ের করা হয়।
সর্বশেষ শুক্রবার দুর্ঘটনার পরপরই গাড়ি ফেলে পালিয়ে যান পারভেজ। গ্রেফতার এড়াতে কলকাতা ছাড়ার পরিকল্পনাও ছিল তার। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ট্র্যাক করে কলকাতা বিমানবন্দরের সামনের একটি হোটেল থেকে পারভেজকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দুর্ঘটনা সংগঠিত হওয়ার পর নিজের জাগুয়ার থেকে নেমে হেঁটে কিছুটা দূরে গিয়ে একটি ক্যাব নিয়ে পালিয়ে যান পারভেজ।
পারভেজ পড়াশুনার জন্য বেঙ্গালুরু এ থাকতেন। এরআগে, বিভিন্ন মামলায় পুলিশ তাকে খুঁজতে বাড়িতে গেলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয় তিনি কলকাতায় থাকেন না। পরিবারের পরোক্ষ সহযোগিতার কারণেই পারভেজ বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন বলে মনে করছেন মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতার বাড়িতে আসেন পারভেজ। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার পরই এ দুর্ঘটনা ঘটান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
ভিএস/পিএম/এনটি