এমন দুর্ঘটনার পুনরাবৃতি যেন না ঘটে সেজন্য কলকাতার পথ নিরাপত্তা সপ্তাহে রাস্তায় লাগানো হয়েছে ঘাতক ওই জাগুয়ারের ছবি।
জাগুয়ারসহ কলকাতায় যেসব অত্যাধুনিক মডেলের গাড়ি চলে অর্থাৎ পোর্শে, মার্সিডিজ বেঞ্জ, অডি, বিএমডব্লিউ, ফেরারি, স্কোডা- সেগুলি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটার গতি তুলতে পারে।
১৬ আগস্ট দুর্ঘটনার রাতে তিনটি জায়গায় সিগন্যাল ভেঙে ভয়ংকর গতিতে ছুটছিল গাড়িটি। তারপর শেক্সপিয়র সরণি ও লাউডন স্ট্রিটের মোড়ে সজোরে একটি মার্সিডিজকে ধাক্কা মেরে পুলিশ কিয়স্ক ভেঙে দেয়। গাড়িটিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত অত্যাধুনিক নানা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও ঘাতক জাগুয়ারের যে বিধ্বস্ত চেহারা হয়েছে, তা দেখিয়ে বিলাসবহুল দামি গাড়ির চালকদের বোঝানোর চেষ্টা করা হবে কলকাতায় পথ নিরাপত্তা সপ্তাহে। বেপরোয়া গতির ফল কী মারাত্মক হতে পারে।
কলকাতার প্রধান পুলিশ দপ্তর লালবাজার থানার ডিসি (ট্র্যাফিক) সন্তোষ পাণ্ডে জানান, এ ধরনের হাইস্পিড গাড়িগুলো যে বেপরোয়া গতিতে নিয়ম ভেঙে চলে এমনটা নয়। তবে ওই গাড়িগুলি খুব অল্প সময়েই পিকআপ তুলতে পারে। কলকাতার মতো ব্যস্ত শহরে এরকম গাড়ি চালানোর সময় চালক যেন সতর্ক থাকেন। কারণ অত্যাধুনিক ও নিরাপত্তাযুক্ত গাড়ি হওয়া সত্ত্বেও সেটিরও প্রচণ্ড ক্ষতি হয়েছে। তাই গতির ক্ষতি সম্পর্কে অবহিত করে পথে পথে লাগানো হবে সেই ছবি।
পুলিশের আরেক কর্মকর্তা জানান, এমনিতে এ ধরনের অত্যাধুনিক গাড়িগুলিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থা ও উন্নত প্রযুক্তি থাকে। তারপরেও চালক নিয়ম অমান্য করে গাড়ি চালানোয় দুর্ঘটনা ঘটে। জাগুয়ারের চালকের আসনে বসে থাকা রাঘিব পারভেজ নিয়ম মেনে সিটবেল্টও লাগাননি। এই গাড়িতে সিটবেল্ট না বাঁধলে গাড়ি স্টার্ট নেওয়ার কথা নয়। তাই তিনি সিটের পাশে একটি নকল হোল্ডার বানিয়ে তাতে সিটবেল্ট লাগিয়ে রেখেছিলেন।
চালকরা যাতে ঠিকমতো সিটবেল্ট লাগান, গতির নিয়ম মেনে গাড়ি চালান, তা নিয়েই চালক ও গাড়ির মালিকদের সচেতন করা হবে। কলকাতা পুলিশের উদ্যোগে পথ নিরাপত্তা সপ্তাহের সূচনা করেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
ভিএস/এএ