এনআরসি থেকে বাদ পড়াদের মধ্যে রয়েছে ১১ লাখেরও বেশি হিন্দু বাঙালি। ছয় লাখের কিছু বেশি মুসলমান।
এর আগে, এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া থেকে বাদ পড়েছিল ৪৩ লাখ মানুষের নাম। এর মধ্যে দুই লাখ অবাঙালি, ২৬ লাখ হিন্দু বাঙালি, বাকি সব বাঙালি মুসলমান। সেখান থেকে চূড়ান্ত তালিকায় বাদ পড়েছে ১৯ লাখের বেশি নাম। খসড়ার সময় নাগরিকপঞ্জিতে আবেদনকারীর মোট সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৩০ লাখ ২৭ হাজার ৬৬১ জন।
আরও পড়ুন> আসামে চূড়ান্ত নাগরিকত্ব তালিকা প্রকাশ, বাদ ১৯ লাখ
এ বিষয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল জানিয়েছেন, যাদের নাম বাদ পড়েছে, তাদের এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। এখনই তারা বিদেশি নন। আগামী ১২০ দিনের মধ্যে বিদেশি ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারবেন তারা। আবেদন জানাতে পারবেন সুপ্রিম কোর্টেও।
এ নিয়ে মোট এক হাজার ট্রাইব্যুনাল খোলা হবে বলে জানিয়েছে সরকার। যদিও, এখন এর সংখ্যা মাত্র একশ’। সেপ্টেম্বরে আরও দুইশ’টি খোলা হবে। ট্রাইব্যুনালের আবেদন বিফলে গেলেও সুযোগ থাকবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি হাইকোর্ট, তারপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারবেন। এ প্রক্রিয়া চলাকালীন কাউকে ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হবে না বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন।
এদিকে, এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর ব্যাপক সতর্কতা জারি করা হয়েছে রাজ্য জুড়ে। অতিরিক্ত ২২ হাজার আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য পাঠানো হয়েছে। আসাম রাইফেলস ও আসাম পুলিশের দাঙ্গা প্রতিরোধ বাহিনী টহলদারি শুরু করেছে। একাধিক স্পর্শকাতর জেলায় ১৪৪ ধারা জারি হচ্ছে।
আরও পড়ুন> দিল্লিতেও নাগরিকত্ব তালিকা বাস্তবায়নের হুঁশিয়ারি
তবে, এনআরসি প্রকাশের পর বেশ দোটানায় পড়েছে বিজেপি ও আসাম সরকার। কারণ, বাদ পড়া ১৯ লাখের মধ্যে বিপুল সংখ্যক হিন্দু বাঙালি রয়েছেন। এদের মধ্যে সিংহভাগই আসামের প্রকৃত বাসিন্দা বলে মনে করছে রাজ্য সরকারও। মুখ্যমন্ত্রী এ সমস্যা নিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। পাশাপাশি, আসাম গণ পরিষদ দাবি তুলেছে, এ তালিকা বাতিলের। কারণ তাদের মতে, আসামে বহিরাগত আছে ৪০ লাখেরও বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৯
ভিএস/একে