আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে যাওয়ার আশঙ্কাজনক এ খবর জানান বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া শাখা প্রধান অর্থনীতিবিদ হংস টিমার।
অর্থনীতিবিদ টিমার বলেন, ভারত এখনো দ্রুত আর্থিক বৃদ্ধির দেশ।
অবশ্য এর আগে ভারতের আর্থিক মন্দা নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা জর্জিয়েভা বলেছিলেন, ‘মন্দা পরিস্থিতি ভারতের মতো দেশে আরও বেশি দেখা যেতে পারে। ’
সে আশঙ্কার কথা ফের জানালো বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের মতে, চলতি অর্থবছরে ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার নেমে হতে পারে ৬ শতাংশ। অর্থাৎ, গত আর্থিক বছরের (২০১৮-২০১৯) প্রকৃত বৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৯ শতাংশের তুলনায় আরও ধীর গতিতে এগোবে ভারতের অর্থনীতি।
এদিকে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এর আগে আর্থিক বৃদ্ধির এ প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে মোদী সরকার।
তবে এ পরিস্থিতি ভারত কাটিয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০২১ সালে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ৭ দশমিক ২ শতাংশের বেশি হতে পারে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার। যদিও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ। ২০১৮-১৯ সালের অর্থবছরে এ হার দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশে।
আর্থিক মন্দার কারণ হিসেবে নোট বাতিল, জিএসটি (গুড সার্ভিস ট্যাক্স) সমস্যাকে দায়ী করেছে বিশ্বব্যাংক।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতের গ্রামীণ অর্থনীতি ভালো অবস্থায় নেই। সেইসঙ্গে দেশটিতে বেড়েছে বেকারত্ব। ফলে এ মুহূর্তে দেশটির বাজারে চাহিদা এখনই আর বাড়বে না। এর জেরেই বড় ধাক্কা খেয়েছে গাড়ি শিল্প।
শুধু ভারত নয়, চলতি অর্থবছরে দক্ষিণ এশিয়ার সার্বিক আর্থিক বৃদ্ধির হার কমবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। পাশাপাশি, বিশ্বব্যাংকের আভাস ভারতের চেয়ে দ্রুত গতিতে এগোতে পারে বাংলাদেশ, নেপালের আর্থিক বৃদ্ধির হার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
ভিএস/এইচএডি