শিয়ালদহ, হাওড়া ছাড়াও সকাল থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল ট্রেন। ওই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিপর্যস্ত ছিল ট্রেন চলাচল।
এদিন তড়িঘড়ি করে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের পাশে আছি। কিন্তু কেউ আইনশৃঙ্খলা নিজের হাতে তুলে নেবেন না। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে কাউকেই মাফ করবো না। শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখুন। ’
তিনি আরও বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) সংসদে পাশ হওয়ার পর এখন তা নাগরিকত্ব আইন। এই আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) পশ্চিমবঙ্গে কোনোভাবেই কার্যকর হবে না, কাউকে তাড়াতেও দেবো না।
কেন্দ্রীয় সরকারের ওই দুই নীতির প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা এবার পথে নামছেন। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত শহর এবং লাগোয়া হাওড়া শহরে তিনটি প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
এছাড়া বিক্ষোভের নামে বিশৃঙ্খলা যে কাম্য নয়, এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। তিনি বলেন, ‘যারা এই ধরনের রাস্তা আটকাচ্ছে, তারা বিজেপিরই হাত শক্ত করছে। পশ্চিমবাংলা সেকুলার জায়গা। এখানে মস্তানি করা ঠিক হয়নি। যারা এসব করছেন সে যে ধর্মের হোক দম থাকে তো অমিত শাহ বাড়ির সামনে গিয়ে করুন। ’
তবে এদিন শান্তির বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। বলেন, ‘আমি সবাইকে হাতজোড় করে আবেদন করছি, শান্তি ভঙ্গ করবেন না। হিংসা থেকে দূরে থাকি। সংবিধানে ভরসা রাখা উচিত। সংসদের আইনে ভরসা রাখুন। পশ্চিমবাংলার মানুষ শান্তিপ্রিয়। আইন মেনে চলুন।
আরও পড়ুন>> পশ্চিমবঙ্গে রেল স্টেশনে আগুন-অবরোধ
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরের পর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গা। সকাল থেকে অবরোধ শুরু হয় মুর্শিদাবাদে। জাতীয় সড়ক ও রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ হয় বেলডাঙায়। বিপর্যস্ত হয় শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন পরিষেবা। উলুবেড়িয়াতে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়। কলকাতার পার্কসার্কাসে রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে দেখানো হয় বিক্ষোভ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
ভিএস/এইচএডি/