আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরায় বাড়ছে কাশ্মীরি আপেল কুল চাষের আগ্রহ। ঊনকোটি জেলার পাশাপাশি খোয়াই জেলার এক চাষি সঞ্জয় হালদার বিকল্প রোজগারের পথ কাশ্মীরি আপেল কুল চাষ করেছেন।
ত্রিপুরার খোয়াই জেলার অন্তর্গত তেলিয়ামুড়ার উত্তরকৃষ্ণপুর এলাকার কৃষক সঞ্জয় হালদার কাশ্মীরি আপেল কুল চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
তিনি জানান, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ এলাকা থেকে এ কুলের চারা আনিয়েছিলেন। মোট দুই বিঘা জমিতে কুল চাষ করেছেন। এ বছর প্রথম ফলন এসেছে গাছগুলোতে। ইতোমধ্যে তিনি কিছু কুল বিক্রি করে নিয়েছেন। এখনো প্রচুর পরিমাণ কুল রয়েছে গাছগুলোতে। বাদুড় ও অন্য পাখির হাত থেকে কুল রক্ষা করতে তিনি গাছের ওপর জাল বিছিয়ে রেখেছেন।
সঞ্জয় জানান, এ বছর অসময়ে বৃষ্টির কারণে ফলন তুলনামূলক কম হয়েছে। তারপরও যে পরিমাণ ফল ধরেছে তাতে তিনি খুশি।
সঞ্জয় আরও জানান, ত্রিপুরায় এ প্রজাতির কুল আগে চাষ না হলেও পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থানসহ আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যে কাশ্মীরি আপেল কুলের চাষ হয়। স্থানীয় তেলিয়ামুড়া বাজারেই ইতোমধ্যে ৯০ হাজার টাকার কুল বিক্রি করেছেন তিনি। আরও কুল বিক্রির বাকি রয়েছে। অন্য ফলের তুলনায় এ কুল চাষ লাভজনক। এ ফল চাষ করে বেকার যুবকরা স্বনির্ভর হতে পারবেন বলেও মনে করেন তিনি।
তেলিয়ামুড়া এলাকায় আপেল কুল চাষ হচ্ছে শুনে আগরতলার জিবি বাজার এলাকার বাসিন্দা যুবক রাহুল সরকার ও তার বন্ধু মিলে ছুটে যান কৃষক সঞ্জয় হালদারের বাড়িতে। অন্য কুলের তুলনায় এ কুলের স্বাদ অনেক বেশি। নিজেরা খেয়েছেন এবং পরিবারের জন্য কিছু কিনে নিয়েছেন বলেও জানান।
রাজ্যে কাশ্মীরি আপেল কুল চাষ করে যুবকরা স্বনির্ভর হওয়ার নতুন দিশা দেখাচ্ছেন। ঊনকোটি জেলার পেচারথল এলাকার আরেক যুবক আপেল কুল চাষ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১
এসসিএন/এফএম