কলকাতা: ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে সংক্রমণের মাত্রা অত্যাধিক হারে বাড়ছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে চোখের পলকে ১ লাখ ছাড়িয়ে গেলো শনাক্তের সংখ্যা।
রোববার (৪ এপ্রিল) দুপুর অব্দি ভারতে শনাক্তের সংখ্যাটা ছিল লাখের নিচে। সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল অর্থাৎ গত একদিনে সক্রমণের বেড়ে ১ লাখ ৩ হাজার ৫৫৮ জনে দাঁড়ালো এবং মৃত ৪৭৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ৫২ হাজার ৮৪৭ জন।
এমন অবস্থায় যদি করোনা কমানো না যায় সেক্ষেত্রে ফের হয়তো লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার, এমন আভাসও উঠে আসছে।
অপরদিকে, মহারাষ্ট্রে দৈনিক শনাক্তে সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫০ হাজারের বেশি। বেলাগাম সংক্রমণের কারণে সোমবার রাত থেকে মহারাষ্ট্রে নাইট কার্ফু ঘোষণা করা হয়েছে। প্রত্যেকদিন রাত আটটা থেকে পরদিন ভোর সাতটা পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারি থাকবে সর্বত্র। আর সপ্তাহান্তে অর্থাৎ প্রত্যেক শুক্রবার রাত আটটা থেকে সোমবার ভোর সাতটা পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে রাজ্যে।
লকডাউনে কড়া নিষেধাজ্ঞা থাকবে শপিংমল, রেস্তোরাঁ এবং হোটেলগুলোতে। শুধু খাবার ডেলিভারির জন্য সেগুলো খোলা থাকবে। সরকারি অফিসগুলোতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চলবে। বেসরকারি সংস্থাগুলোর কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে দিনভর ১৪৪ ধারা জারি থাকবে সর্বত্র। অর্থাৎ অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হলে মহামারি আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হবে। প্রয়োজনে ১০ হাজার রুপি পর্যন্ত জরিমানা করবে সরকার।
এর সঙ্গে মহারাষ্ট্রের সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য অক্সিজেনের সাপ্লাই বাড়াতে হবে। কোনো আবাসনে পাঁচ বা তার বেশি শনাক্তের সন্ধান পেলেই সেটি কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। রাজনৈতিক সমাবেশ, মিটিং, মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তবে প্রযোজকরা চাইলে মুম্বাইতে ছবির শুটিং চালাতে পারে, সেক্ষেত্রে ভিড় করা চলবে না। থিয়েটার এবং নাটকের প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ থাকবে। পার্ক, খেলার মাঠ, ধর্মীয় স্থল, সেলুন, বিউটি পার্লার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার।
অপরদিকে, পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ না হলেও সংক্রমণ বাড়ছে বিহার, ওড়িশাতেও। সেখানে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভোটের মধ্যে মোটেও স্বস্তিতে নেই পশ্চিমবঙ্গ। বাংলাতেও দিন দিন সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। ভোটের ফল প্রকাশের পর রাজ্যও লকডাউনের পথে হাঁটতে পরে বলে আঁচ করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২১
ভিএস/ওএইচ/