ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

ঢাকার পথে মিতালী এক্সপ্রেস

ভাস্কর সরদার, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৪ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২২
ঢাকার পথে মিতালী এক্সপ্রেস ছবি: বাংলানিউজ

কলকাতা: দীর্ঘ ৫৭ বছর পর ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আন্তঃদেশীয় ট্রেন হিসেবে বুধবার (১ জুন) চালু হলো ‘মিতালী এক্সপ্রেস’। এদিন পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি (এনজিপি) স্টেশন অর্থাৎ শিলিগুড়ি থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে ট্রেনটি।

 

দুই দেশের যাত্রী যাতায়াতে তৃতীয় এক্সপ্রেস ট্রেন এই মিতালী এক্সপ্রেস। এর আগে গত দু’বছর বন্ধ থাকার পর ২৯মে থেকে মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হয়েছে।

১৯৬৫ সালের পর এ রুটে বুধবার প্রথম চালু হলো মিতালী এক্সপ্রেস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তরবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের দ্রুত যোগাযোগের স্বার্থে, মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।  

যাত্রীবাহী ট্রেন হিসেবে গত বছর ২৬ মার্চ, মিতালী এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদী।

এরপর করোনার কারণে দুই দেশের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। তবে ফের স্বাভাবিক হতেই সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই কারণেই মৈত্রী, বন্ধনের পর পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে (১৩১৩২/১৩১৩১ এনজিপি – ঢাকা-এনজিপি) বুধবার চালু হলো মিতালী এক্সপ্রেস। ট্রেনটির নাম দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার ভারতের রেলমন্ত্রী আশ্বিনি বৈষ্ণব ও বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ট্রেনটির ভার্চ্যুয়াল ‘ফ্ল্যাগ অফ’ করেন।  

মোট ১৮ জন যাত্রী নিয়ে এদিন মিতালী এক্সপ্রেস এনজিপি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। যাদের মধ্যে অধিকাংশই শিলিগুড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। ১০ বগীর এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে আছে ৪টি এসি বার্থ কোচ, ৪টি এসি চেয়ার কোচ এবং ব্রেকভ্যানসহ পাওয়ারকার ২টি। মোট ৪টি স্টেশনে দাঁড়াবে মিতালী এক্সপ্রেস।  

ট্রেনটি ‘নিউ জলপাইগুড়ির (এনজিপি)’ পর থামবে ভারতের শেষ সীমান্ত ‘হলদিবাড়ি’ স্টেশনে। তারপর বাংলাদেশের সীমান্তের শুরু ‘চিলাহাটি’-তে বিরতির পর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছাবে রাত দশটার পর।

যাত্রীদের সুবিধার্থে, মিতালি এক্সপ্রেসের টিকিট বুকিং করা যাবে কলকাতার ফেয়ারলি প্লেস এবং কলকাতা স্টেশন থেকে। এছাড়া, এনজিপি টার্মিনাল থেকে মিতালী এক্সপ্রেসের টিকিট দেওয়া হবে। তবে টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে মূল পাসপোর্ট প্রয়োজন। অবশ্য এই নিয়ম তিন ট্রেনের ক্ষেত্রেই।

ফলে বিমান, বাসের, পর এইদিন থেকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আন্তঃদেশীয় ট্রেন চলাচল পুরোপুরি শুরু হয়ে গেল। মৈত্রী এক্সপ্রেস ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচল করে। বন্ধন চলে খুলনা-কলকাতা পথে এবং মিতালী এক্সপ্রেস চলাচল করবে নিউ জলপাইগুড়ি-ঢাকার মধ্যে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২২
ভিএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।