কলকাতা: বাংলাদেশের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা বাংলাদেশি পিকে হালদার এবং তার পাঁচ সহযোগিকে গত ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪পরগনার অশোকনগর থেকে গ্রেফতার করেছিল ভারতের আর্থিক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর (ইডি)।
বর্তমানে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে থাকা পিকে হালদারদের নিয়মিত জেরায় উঠে আসছে নিত্য নতুন তথ্য।
দিন দুয়েক আগে পিকে হালদারের তথ্যের ভিত্তিতে পূর্ণিমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে অশোকনগরে হানা দেয় ইডি। কিস্তু তাকে না পেয়ে ইডির পক্ষ থেকে তার বাসায় নোটিশ দিয়ে আসে। তাতে বলা হয়, ২৯ জুন সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে ইডির দফতরে সশরীরে হাজির থাকতে হবে। সাথে আনতে হবে ভারতীয় সমস্ত নথি, সম্পত্তির যাবতীয় নথি এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য।
সেই মর্মে বুধবার (২৯ জুন) সকাল ১১টায় ইডির পূর্বাঞ্চলীয় শাখা সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত হন পূর্ণিমা মৈত্র। দফতরে প্রবেশের আগে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, আমি ভারতীয়। '
এরপর টানা ৫ ঘণ্টা জেরার পর পূর্ণিমাকে বিষণ্ন চেহারায় ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'আমাকে কোনো প্রশ্ন করেনি। ' তবে জানা যায়, পূর্ণিমার সমস্ত নথি ইডি নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছে। আবার ৬ জুলাই পূর্ণিমাকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ইডির তরফে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ মে হালদারদের গ্রেফতারের পর ১৪ দিন রিমান্ডে নেয় ইডি। এরপর গত ২৭ মে আদালতের রায় অনুযায়ী, বিচার বিভাগীয় তদন্তের কারণে ১১ দিনের জুডিশিয়াল কাস্টাডি (জেসি) হয় পিকেদের। ঠিক একইভাবে ৭ জুন আদালতে তোলা হলে তাদের বিরুদ্ধে ১৪ দিনের জেসি হয়। মঙ্গলবার (২১ জুন) আদালতের রায় অনুযায়ী আরও ১৪ দিনের জেসি হয়। ফের হালদারদের ৫ জুলাই আদালতে তোলা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২২
ভিএস