ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ভারত

ভারতে কোভিড গ্রাফ কিছুটা নিম্নমুখী, স্বস্তি পশ্চিমবঙ্গে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
ভারতে কোভিড গ্রাফ কিছুটা নিম্নমুখী, স্বস্তি পশ্চিমবঙ্গে

কলকাতা: কিছুটা স্বস্তি ভারতে দৈনিক করোনা শানাক্তের সংখ্যায়। একদিনে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েক দিনের তুলনায় কিছুটা কমল।

 

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একদিনে ভারতে নতুন করে করোনা ভাইরাসে শানাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৫২৮ জন। প্রাণ গেছে ২৫ জনের। ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সম্প্রতি পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশটিতে কোভিড সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও অনেকটাই কমেছে।

তবে পশ্চিমবঙ্গে করোনা শনাক্তের সংখ্যা কমলেও কমছে না মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে করোনা সংক্রমণে মারা গেছে ৬ জন। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যায় কলকাতাকে ছাপিয়ে গেছে উত্তর ২৪পরগনা। পাশাপাশি বীরভূমেও ফের বাড়ছে সংক্রমণ।

তবে পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ছাপিয়ে গিয়েছিল। সেই সংখ্যা কিছুটা কমছে গত কয়েকদিনে। রাজ্যটিতে মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্যানুযায়ী, গত একদিনে শনাক্ত ১৪৪৯ জন। এরই মধ্যে ২১ জুলাই। দিনটিতে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল শহীদ দিবস পালন করে।

এই পরিস্থিতিতে ৮ থেকে ১০ লাখ মানুষের প্রকাশ্য জমায়েত করে তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের প্রকাশ্য সমাবেশ করা উচিত নয়। ওই সমাবেশ ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে করা হোক। এই আবেদন করে কলকাতা হাইকোর্টে এক জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলের পর সেই মামলার রায় দেবেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

শাসক দলের ২১ জুলাই সমাবেশে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে সভা হোক, এই আবেদনে হাইকোর্টে মামলা করেন চিকিৎসক সঞ্জীবকুমার মুখোপাধ্যায়।  

এদিন তার আইনজীবীর বলেন, প্রতিদিন ভারতসহ পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ বেড়েই চলেছে কোভিড। এই পরিস্থিতিতে ৮-১০ লাখ মানুষের একত্রিত জমায়েত হয়ে সভা করা ঠিক হবে না। সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকবে। ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে সভা করা হোক।

এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের যুক্তি, ২১ জুলাই সভা হচ্ছে খোলা জায়গায়। ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা খুবই কম। হাইকোর্ট জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। সন্ধ্যায় রায় দেওয়া হবে।

এদিকে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কায় আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করেছে ভারত। করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে ফের একবার মাইলফলক ছুঁল ভারত।  

সোমবার (১৮ জুলাই) পর্যন্ত ২০০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যানুয়ায়ী, ভারতের ৯৮ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যাক্তি করোনার একটি টিকা পেয়েছেন। ৯০ শতাংশ মানুষ পেয়েছেন করোনা টিকার দুটি ডোজ এবং ১৫-১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে ৮২ শতাংশ পেয়ে গিয়েছেন করোনা টিকার প্রথম ডোজ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।