কলকাতা: দুর্নীতির ইস্যুতে অনেকটাই ব্যাকফুটে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
অপরদিকে একাধিক দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার তৃণমূলের অতি প্রভাবশালী নেতা বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনিও এখন জেল হেফাজতে। এছাড়া শাসকদলের আরও কয়েকজন নেতাও দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার তদন্তকারী সংস্থাগুলোর হাতে। রাজ্য থেকে উদ্ধার হয়েছে শত শত কোটি রুপি।
এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান বিরোধীদল বিজেপি। রাজ্যজুড়ে নেতাকর্মী, সমর্থকরা এক হচ্ছেন কলকাতায়। প্রস্তুত প্রশাসন। কারণ বিনা পুলিশ অনুমতিতেই এ কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। হাওড়া ময়দানে জমায়েতে নেতৃত্বে আছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ওই জেলার সাঁতরাগাছিতে নেতৃত্বে আছেন বিধানসভার বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর কলকাতার কলেজ স্কোয়ারে নেতৃত্বে আছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ত্রিমুখী এ কর্মসূচিতে রাজ্যের উত্তরবঙ্গ থেকে আসা কর্মী-সমর্থকরা শিয়ালদহ ও কলকাতা স্টেশনে নেমে চলে এসেছেন কলেজ স্ট্রিটে। সেখানে এসেছেন মুর্শিদাবাদ, নদিয়া ও দুই ২৪ পরগনার কর্মীরাও। নেতৃত্বে আছেন দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছানো কর্মীরা চলে গেছেন হাওড়া ময়দানে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, হুগলির কর্মীরা জমায়েত হচ্ছেন সেখানে। নেতৃত্ব দিচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার। দুই মেদিনীপুরসহ দক্ষিণবঙ্গের যে কর্মীরা সড়কপথে এসেছেন সেখানে নেতৃত্বে আছেন দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
পুলিশ অনুমতি না দিলেও নবান্ন ঘেরাও প্রস্তুতি তুঙ্গে বিজেপির। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, চোরেদের থেকে আবার পারমিশন নেওয়ার কী দরকার। গোটা মন্ত্রিসভা চুরির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। সেই চোরেদের কাছ থেকে আবার পারমিশন? বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের হুঁশিয়ারি, আমরা সবকিছুর জন্য প্রস্তুত আছি। গ্রেফতার করে, জলকামান দিয়ে, গুলি চালিয়ে, আমাদের মেরে থামানো যাবে না।
মূলত নবান্ন হাই সিকিউরিটি জোন। সেখানে ১৪৪ ধারা জারি থাকে। নবান্নের সামনে চারজনের বেশি জমায়েত করা যায় না। ফলে রাজ্যজুড়ে এদিন উত্তেজনার পারদ চড়েছে। স্তব্ধ হতে চলেছে গোটা কলকাতা। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতা আসতে শুরু করেছিল কর্মী-সমর্থকরা। তাদের মধ্যেও চরম উৎসাহ-উদ্দীপনা। কারণ শাসকদলের পরপর কয়েকটি বিরূপ ঘটনা তাদের যেমন উৎসাহ বাড়িয়েছে, তেমনি অনেকদিন পর এমন একটা ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিজেপি।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
ভিএস/আরবি