ঢাকা: দেশে বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটির বেশি। বিগত ৬ বছরে দেশে এর ব্যবহার প্রায় ৩ গুণ।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) নগরীর আগারগাঁও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অডিটোরিয়ামে ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ তথ্য দেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। নেটওয়ার্ক অবকাঠামো দেশের উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। ২০১৭ সালের মধ্যে দেশের সব ইউনিয়ন পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার কানেকটিভিটি স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার হিসেবে রূপান্তর করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ’
‘এসব সেন্টারের মাধ্যমে গ্রামের জনগোষ্ঠী বিভিন্ন ধরণের সেবা পাচ্ছেন। কেন্দ্রগুলোকে ভবিষ্যতে মিনি বিপিও কেন্দ্রতে পরিণত করা হবে। যার মাধ্যমে শিক্ষিত যুব সমাজ কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। ’
‘এসবের সরাসরি একটি সুফল আমরা দেখেছি দারিদ্র বিমোচনের মাধ্যমে। বর্তমানে দারিদ্রের হার ৪০ থেকে ২৫ ভাগে নেমে এসেছে। আমাদের মাথাপিছু আয় ১২০০ ডলার হয়েছে। ‘
প্রতিমন্ত্রী জানান, এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৫ আরো ব্যাপক পরিসরে আসবে। আন্তর্জাতিক থেকে শুরু করে তৃণমূলের সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এক ধরণের আলোড়ন সৃষ্টি করব। ’
‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬ কোটি মানুষকে বোঝা মনে করেন না। ১৬ কোটি মানুষকে প্রধানমন্ত্রী সম্পদ মনে করেন। এই লক্ষ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ আমাদের প্রধানমন্ত্রী। ’
এবারের মেলায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কারা অংশ নেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে জুনাইদ আহমদ পলক বলেন, এশিয়া, সার্ক, ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিনের আমন্ত্রণ জানানো হবে। আমাদের সচিব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেবেন। ’
পলক বলেন, তৃণমূলে সরকারি সেবা সহজে পাওয়ার জন্য চালু হয়েছে জেলা ই-সেবা কেন্দ্র, সেবা যাতে সবাই পেতে পারে তার জন্য দেশের সকল ইউনিয়নে ‘ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার’ চালু হয়েছে। তিন হাজারের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব চালু হয়েছে। ’
’২৩ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণীকক্ষ চালু প্রায় শেষ পর্যায়ে। ’
তিনি আরো বলেন, শুধু সেবার ডিজিটালাইজেশন নয়, অবকাঠামোরও সম্প্রসারণ করা হয়েছে। আমাদের প্রাণশক্তি তরুণরা নজরে এসেছে বিশ্ববাসীর। বিশ্বের প্রথম সারির কোম্পানিগুলোতে তারা কাজ করছে। স্যামসাং, ওয়ার্ল্ড ডিজনি, গুগল, সিসকো’র মতো প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের অফিস খুলেছে বাংলাদেশে। এবার মেলায় আমাদের অভিজ্ঞতা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে চায়। আমরা আমাদের কথা শোনাতে চাই, শুনতে চাই। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের মূল উদ্দেশ্য হলো দেশে আইসিটি ভিত্তিক উন্নয়ন প্রচেষ্ঠায় বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্য ও সক্ষমতা বর্হিবিশ্বের প্রতিনিধিদের সামনে উপস্থাপন করতে চাই। ’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও প্রযুক্তি সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের পরিচালক কবির বিন আনোয়ার, আইসিটি অধিদফতরের মহাপরিচালক জসিম উদ্দিন আহমদ, হাইটেক পার্কের এমডি হোসনে আরা বেগম ও মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৪