ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

হঠাৎ এক ঝলক ফেসবুক, রহস্যময় লুকোচুরি!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৫
হঠাৎ এক ঝলক ফেসবুক, রহস্যময় লুকোচুরি!

ঢাকা: মাত্র ঘন্টাখানেক! হঠাৎই এক ঝলক দেখা গেল ফেসবুক। তাতেই সাড়া পড়ে গেল চারদিকে!
 
একটু সময়ের জন্য ফেসবুকের দেখা পেয়ে মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে অনেকেই আনন্দিত হয়েছেন।

ভেবেই নিয়েছিলেন, সরকার বুঝি খুলে দিয়েছে ফেসবুক।  
 
কিন্তু নাহ, খানিক পরে আবারও সংযোগ বিচ্ছিন্ন পাচ্ছেন তারা।
 
দুপুর সোয়া ১২টা থেকে সোয়া ১টা পর্যন্ত রহস্যময় ফেসবুকের লুকোচুরি দেখেছেন অনেকেই।

খোদ সচিবালয়ের কথাই ধরা যাক। বাংলানিউজের এই প্রতিবেদকও কর্মরত ছিলেন সেখানে। ফেসবুক দেখা যাচ্ছে বলে একটা রব যখন উঠলো তখন প্রতিবেদক নিজের ল্যাপটপেও তা দেখতে পেলেন।   কেবল তিনি নয় সচিবালয়ে খবর সংগ্রহে ব্যস্ত অন্য রিপোর্টাররাও পেলেন এর স্বাদ।
 
যাচাই করতে একে-তাকে জিজ্ঞাসা! ঘটনা সত্যি! ফেসবুক শুধু নয়, কিছুক্ষণের জন্য হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবারও উঁকি দিলো অনেকের পিসি, মোবাইলফোনে।
 
বাংলানিউজকেও ফেসবুক ব্যবহারের ‘সুখবর’ জানালেন বেশ কয়েকজন পাঠক। তারা জানালেন, এমন সুখবরের অপেক্ষায়ই তারা ছিলেন।
 
খবর প্রকাশিত হলো ফেসবুক দেখা যাচ্ছে। কিন্তু তখনও নিশ্চিত নয় ফেসবুক কি আদৌ খুলে দেওয়া হলো বাংলাদেশে নাকি বন্ধই রয়েছে।
 
১৮ নভেম্বর থেকে নিরাপত্তার প্রয়োজনে বন্ধ রাখা হয়েছে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবারসহ সামাজিক যোগাযোগের ক’টি মাধ্যম। কেউ সিদ্ধান্তটি সাদরে মেনেছেন, কেউ আবার আবদার করছেন- ‘এসব বন্ধ করে নয়, অন্য কোনভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। ’

বিটিআরসি’তে যোগাযোগ করা হলে বাংলানিউজকে কর্তারা জানান, এমন কোন নির্দেশনা নেই। ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবার খুলে দেওয়া হয়নি।
 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও নিশ্চিত হওয়া গেল- ফেসবুক খোলার নির্দেশ তারা কেউই দেন নি।
 
এতে কিছুক্ষণের এ রহস্যটি খোলাসা হল না এখনো। কোন সে অজানা কারন, যাতে ফেসবুক ব্যবহার করতে পারছিলেন কেউ কেউ!
 
মঙ্গলবার দুপুরে ফেসবুক দেখা গেছে অনেক পিসিতে। এ নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকেও। তারা দু’জনই জানান, এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। যখনই জানা যাবে, পুর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গিয়েছে, তখনই এসব খুলে দেওয়া হবে।
 
তারা কোন সময়সীমা জানান নি।
 
নিরাপত্তার ঝুঁকি কমে গেলেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘গ্রীণ সিগনাল’ আসবে বলে তারানা হালিম জানান। তারপরই তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেবেন।
 
তবে যেভাবেই হোক, যারা প্রিয় মাধ্যমগুলো ব্যবহারের সুযোগ পেলেন মঙ্গলবারের দুপুরে, তারা এমন সুযোগ বারবার চান। বলছেন, ‘মন্দ কী? রহস্যঘেরাই হোক, তবু মাঝে মাঝে যেন ‘তব’ দেখা পাই!’
 
কেউ কেউ আবার বেশ আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। তারা বলছেন, ‘শিগগিরই সরকার হয়তো ‘অফিসিয়ালি’ এসব ব্যবহারের সুযোগটি দিতে যাচ্ছেন। তাই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছিল হয়তো দুপুরের ওই সময়টিতে। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৫
এসকেএস/এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।