ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

জাঁকালো আয়োজনে শেষ হলো স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৬
জাঁকালো আয়োজনে শেষ হলো স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি হলো যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আয়োজিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ হ্যাকাথন কনটেস্ট ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৬’ এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চূড়ান্ত পর্ব। দুই দিনব্যাপী এই হ্যাকাথন শুরু হয়েছিল রাজধানীর ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি) ক্যাম্পাসে।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) থেকে টানা ৩৬ ঘণ্টার হ্যাকাথনে দেশের তিনটি অঞ্চলের (ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী) ফাইনাল বুটক্যাম্প থেকে নির্বাচিত ২০০ প্রতিযোগি ৫০টি দলে বিভক্ত হয়ে প্রতিদ্বন্দীতা করে।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা এসব প্রতিযোগিরা সর্বোচ্চ ৪জন থেকে সর্বনিম্ন ২জনের টিম গঠন করে প্রজেক্টের মাধ্যমে মহাকাশে নভোচারীদের নিরাপত্তা, আবহাওয়া, তথ্য সহ গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ে সমাধান দেয়ার চেষ্টা করে।

শনিবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শেষবারের মতো বিশেষজ্ঞরা প্রতিযোগিদের প্রজেক্টগুলো ঘুরে দেখেন। এরপর আইইউবি অডিটোরিয়ামে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা এবং পুরস্কার বিতরণে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বেসিস সভাপতি শামীম আহসসানের সভাপতিত্বে  বিশেষ অতিথি ছিলেন আইইউবির উপাচার্য প্রফেসর এম ওমর রহমান।

অনুষ্ঠানের শুরু থেকেই নাসার চিফ সায়েন্টিস্ট ‘এলেন রিনি স্টোফান’ স্কাইপে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন। স্কাইপে কনফারেন্সটি পরিচালনা করেন বেসিস পরিচালক এবং স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের আহ্বায়ক আরিফুল হাসান অপু।

প্রায় আধাঘণ্টার বেশি সময় ধরে স্টোফান পুরো অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন এবং এ আয়োজনে যুক্ত হতে পেরে তিনি সম্মানিত বোধ করেছেন বলে জানান। আরিফুল হাসান অপুর অনুরোধে তিনি নাসা এবং তাদের কাজের ধরন (স্পেস স্টেশন, সোলার সিস্টেম, ইউনিভার্স) সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণদের উৎসাহ দেখে তিনি মুগ্ধ। তিনি আরও বলেন বাংলাদেশি তরুণদের এসব উদ্ভাবনগুলো তাদের কাজেও লাগতে পারে।

এসময় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ অনুষ্ঠানে স্টোফান’র অভিজ্ঞতা সবার সাথে শেয়ার করার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি নিজেও বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টরে গৃহীত পরিকল্পনাগুলো স্টোফানের সাথে শেয়ার করেন। পলক বলেন, সরকারের ২০২১ ডিজিটাল রুপকল্প এবং নলেজ-বেজড সোসাইটি গড়তে একটি প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয়েছে, যেখানে ১ হাজার ইনোভেটিভ প্রডাক্ট তৈরির লক্ষ্য রয়েছে। এছাড়া উদ্যে্ক্তাদের জন্য ইনোভেশন ফান্ড, ফ্রি অফিস স্পেস সুবিধা সহ নানান সাপোর্টের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।


বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আগামী বছর বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইট ১ উৎক্ষেপনের কথাও জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী স্টোফেনকে ভিডিও কনফারেন্স নয়, বাংলাদেশে আগামী অক্টোবরে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে সরাসরি সাক্ষাতের আমন্ত্রণ জানালে তাতে সাড়া দেন স্টোফেন।

অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, শামীম আহমেদ, আইইউইব উপাচার্য।

এই আয়োজনে বিভিন্নভাবে সহযোগি প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধি সহ মেন্টরস ও বিচারকদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়া অংশগ্রহনকারী সকল প্রতিযোগিদের সনদপত্র দেয়া হয়।


উল্লেখ্য, এবারের এই হ্যাকথনে প্রতি অঞ্চল থেকে দুটি করে মোট ৬টি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ঢাকা অঞ্চলে বিজয়ী ও চ্যাম্পিয়ন যথাক্রমে উইনগার ও গার্ডিয়ান অব দ্য এয়ার, রাজশাহী অঞ্চলে মৈত্রী : দ্য ড্রোন এইডার ও ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সাপ্লাই সিস্টেম ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে ট্র্যাকইট ও প্রজেক্ট জেদ।

বিজয়ীরা নাসার চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের সুযোগ পাবে।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) দ্বিতীয়বার এই হ্যাকাথনের আয়োজন করলো।

এ আয়োজনে সহযোগিতায় বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম ও ক্লাউড ক্যাম্প বাংলাদেশ, পৃষ্ঠপোষকতায় বাগডুম ডটকম, পিবাজার ডটকম ও পিপলএনটেক এবং একাডেমিক পার্টনার ছিল ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি ও রাজশাহী ইউনিভার্সিটি।

বাংলাদেশ সময়: ০৩১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৬
এসজেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।