ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বিষয়ে আইন কার্যকর হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৬
বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বিষয়ে আইন কার্যকর হবে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বিদেশি চ্যানেল ডাউনলিঙ্ক ও বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচারের বিষয়ে আইনে যা আছে, তা কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

ঢাকা: বিদেশি চ্যানেল ডাউনলিঙ্ক ও বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচারের বিষয়ে আইনে যা আছে, তা কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
 
রোববার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে টেলিভিশন মালিক, টেলিভিশন কলা-কুশলী ও বিজ্ঞাপনদাতাদের সংগঠন মিডিয়া ইউনিটি’র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বিদেশি চ্যানেল ডাউনলিঙ্ক ও বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের ব্যাপারে আইনে যা-যা আছে, তা সবই কার্যকর করা হবে। কিন্তু আমি এটুকু বলি, এ ব্যাপারে কোথায়-কোথায় আইনের বরখেলাপ হচ্ছে, সেটা আমরা পরীক্ষা করবো। পরীক্ষা শেষে আমরা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবো। ’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে কেনো অবৈধ চ্যানেল সম্প্রচার করা আইনত নিষিদ্ধ। এটার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারি এবং সাজা হবে। কয়েকদিন আগে কিছু অবৈধ চ্যানেল বন্ধ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অনুমোদনপ্রাপ্ত চ্যানেলে কিছু প্রোগ্রামে এদিক-ওদিক হচ্ছে। বিষয়টা আজকে আমাদের নজরে এসেছে।

কোন কোন টিভি চ্যানেল সম্প্রচারের কোন জায়গাগুলো ভঙ্গ করছে তা জানানোর আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

বিজ্ঞাপনের জন্য পাঠানো অর্থ কীভাবে, কোন দেশে পাঠানো হচ্ছে তা বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রচার জগতে বিদেশি চ্যানেল ডাউনলিঙ্ক এবং বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের ব্যাপারে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মিডিয়া ইউনিটির আহ্বায়ক ও একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু বলেন, ভারতীয় চ্যালেনের নামে কিছু অনুমোদনহীন চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিঙ্ক হচ্ছে, ভারতীয় চ্যানেল হলেও এগুলো ভারতেও প্রদর্শিত হয় না। বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন খাতের টাকা গ্রাস করাই এর উদ্দেশ্য।
 
মিডিয়া ইউনিটির পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, বর্তমানে স্থানীয় চ্যানেলে বিজ্ঞাপনের বাজার সংকুচিত হচ্ছে এবং এ বাজার বিদেশি চ্যানেলের হাতে চলে গেছে। বিগত কয়েক বছরে এসব চ্যানেল বাংলাদেশর কিছু কোম্পানির কাছে পাওনা বাবদ বকেয়া তৈরি করে প্রভাব খাটিয়ে সেই টাকা নিয়ে যেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি বের করে। গত এক বছরে এই অনুমতিপত্রের মাধ্যমে দেশ থেকে কোটি-কোটি টাকা পাচার হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- মিডিয়া ইউনিটির উপদেষ্টা ব্যবসায়ী নেতা সালমান এফ রহমান, মিডিয়া ইউনিটির আহ্বায়ক ও একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু, সদস্য সচিব আরিফ হাসান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৬/আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা
এমআইএইচ/জিপি/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।