এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও জনপ্রিয় লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। সবার জন্য উন্মুক্ত এ ফেস্টিভাল চলবে শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত।
এবারে ফেস্টিভালে রয়েছে বই মেলার আয়োজন। মেলায় বিভিন্ন প্রকাশনার বিজ্ঞানবিষয়ক বই কেনা যাবে ২৫ শতাংশ কমিশনে। উৎসবের সর্বোচ্চ সংখ্যক বই ক্রেতাকে বিশেষ পুরষ্কার দেওয়া হবে।
সায়েন্স ফেস্টিভালের অন্যতম আকর্ষণ মানুষের মতো দেখতে রোবট ‘ইবো’। আরও রয়েছে ভিডিও গেম এবং মাস্টার টাইপার প্রতিযোগিতাসহ নানা আয়োজন।
এবারের ফেস্টিভালে গত দুই বছরের কাজের মূল্যায়ন করে পাঁচজনকে ক্রিয়েটিভ সদস্য সম্মাননা, সায়েন্স ফিকশন লেখক দীপু মাহমুদকে সায়েন্স ফিকশন সাহিত্য পুরস্কার-২০১৫ ও আসিফ চৌধুরীকে সায়েন্স ফিকশন ছোটগল্প লেখার জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আনিসুল হক বলেন, আজকে যারা প্রথিতযশা লেখক তারাই নতুন লেখকদের অনুপ্রেরণা।
তিনি বলেন, আজকে যারা সায়েন্স ফিকশন লিখছেন তাদের লেখা থেকে একদিন অনেক সমস্যার বৈজ্ঞানিক সমাধান বেরিয়ে আসবে। নতুন-নতুন সায়েন্স ফিকশন থেকে নতুন-নতুন আবিষ্কার হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, বাংলাদেশ সায়েন্স ফিকশন সোসাইটি বিজ্ঞান সাহিত্যের প্রতি সবাইকে শুধু আগ্রহ সৃষ্টি ও উৎসাহ দিচ্ছে তা নয়। বিজ্ঞান চর্চাও করে যাচ্ছে।
সায়েন্স ফিকশন লেখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি যদি লিখতে না পারি, ভিতরে উশখুশ করতে থাকে।
সায়েন্স ফিকশন পাগলের মতো লিখলে হয় না। এতে সায়েন্সের ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হয় বলেও মন্তব্য করেন লেখক জাফর ইকবাল।
তিনি জানান, তিন বছর আগে সায়েন্স ফিকশন ফেস্টিভাল শুরু হয়েছে। এটি দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এটি আরও জনপ্রিয় হবে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে এটি দেখতে মানুষ ছুটে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সায়েন্স ফিকশন সোসাইটির সভাপতি মোশতাক আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৭
এমইউএম/জিপি/টিআই