সোমবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
‘ক্রিয়েটিভ এ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইকো-সিস্টেম: গভর্নমেন্ট রোল’ শীর্ষক বৈঠকটি আইসিটি বিভাগের ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড অন্ট্রাপ্রেনিওরশিপ একাডেমি (আয়ডিয়া) আয়োজন করে।
জুনাইদ আহমেদ বলেন, আইসিটি খাতে সমস্যা মোকাবেলায় আমরা কাজ করছি। ২০২১ সালের মধ্যে ১০ হাজার আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে চাই। বর্তমান সরকার ভেঞ্চার ক্যাপিটালের জন্য শুধু গাইড প্রণয়ন করে থেমে নেই। এজন্য সব গ্রুপকে এক করে, তাদের পরামর্শ নিয়ে নীতিমালা আরও যুগোপযোগী করা হবে।
আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে বৈঠকে সিপিএ ভেঞ্চার ক্যাপিটালের কনসালটেন্ট টিনা জাবিন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি’র বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান জামিল আজহার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, স্টার্ট আপ বা নতুন উদ্যোক্তাদের মূলধনের ঘাটতি থাকায় তারা ভালো করতে পারছে না। অনেকে শুরু করে লোকসানে পড়েছেন। ভেঞ্চার ক্যাপিটালে এসে তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। কাজেই ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইকো সিস্টেম নিশ্চিত করতে হলে সরকারের সব বিভাগ থেকেই সহায়তা আসতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, ভেঞ্চার ক্যাপিটালে কোনো উদ্যোক্তা কাজ শুরু করতে গেলেই তাকে প্রথমে সফটওয়্যার আমদানি করতে হয়। যার ট্যাক্স অনেক বেশি। এটা কমাতে হবে।
এছাড়া মূলধনের ঘাটতি কাটিয়ে বা বিনিয়োগ সমস্যা দূর করতে শেয়ার বাজার থেকে টাকা তোলার ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জ কমিশনের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও এ খাতে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন।
বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- সান ফ্রান্সিসকো স্টেট ইউনিভারসিটির অধ্যাপক ড. মাহমুদ হুসাইন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
ইইউডি/আরআর/পিসি