সাদা-কালো ড্রেস পরিহিত স্কুল পড়ুয়া তরুণীরা বইগুলো নেড়েচেড়ে দেখছেন। পছন্দের লেখকের বই টেবিল থেকে নিয়ে পাতা উল্টেপাল্টে দেখছেন।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বগুড়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বগুড়া জিলা স্কুল মাঠে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার প্রথমদিনেই কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীদের ভিড় ছিলো উপচেপড়া। কথা হয় সাবরিনা, মুস্তারী, পিংকী, সুমি, উর্মিসহ মেলায় আসা একাধিক তরুণীর সঙ্গে।
এসব শিক্ষার্থীরা বাংলানিউজকে জানান, স্কুলের বইপুস্তক পড়তে পড়তে শরীর-মন হাঁপিয়ে উঠেছে। মেলায় নতুন কিছু দেখতে এসেছি। এখানে বিজ্ঞান কেন্দ্রিক ভালো ভালো লেখকের বই দেখলাম। এসব বইয়ে বিজ্ঞানের আধুনিক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। মেলায় আসাতে অন্তত বইগুলো এক নজরে দেখা হলো।
হাফিজা ও সাবিনা বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমদিনে যতটুকু পারি দেখে নিলাম। পরে এসে কমবেশি বই কিনবো।
পাশেই কয়েকটি স্টলে দেখা গেলো কিশোর ও তরুণদের ভিড়। তারা আধুনিক ডিজাইনের বাসাবাড়ি, সড়ক-মহাসড়ক ও সেতুর মডেল দেখছেন। অন্য স্টলে তরুণরা ভিড় করে কম্পিউটার কেন্দ্রিক প্রযুক্তি দেখছিলেন। তাদেরই কয়েকজন হাসান, শাকিল, ফারহান, সজিব, রাকিব, শামীম, আরিফ। এরা বাংলানিউজকে জানান, নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে তারা এ মেলায় এসেছেন। প্রথমদিনেই এ মেলা তাদের কাছে ভীষণ ভাল লেগেছে। উদ্বোধনের আগে থেকেই মেলার সবগুলো স্টল ঘুরে দেখেছেন স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া এসব কিশোর-তরুণ শিক্ষার্থীরা। সবমিলিয়ে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে স্টলে স্টলে তরুণ-তরুণীরা ছিলেন মত্ত।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তিন দিনব্যাপী এ ‘ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা’ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। মেলায় মোট ৬০টি স্টল অংশ নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৭
এমবিএইচ/এএটি/আরআই