এ বিষয়ে অ্যাপলম্বটেক বিডির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সাইফ সাইফুল্লাহ জানান, এতোদিন ধরে জেনে আসছি, পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। কিন্তু পরিবেশ দূষণের হার কেমন তা জানার সুযোগ ছিল না।
বাংলাদেশে এয়ার কোয়ালিটি মনিটরের বহুল ব্যবহারের ক্ষেত্র রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো স্থানে দূষণের মাত্রা জেনে অবকাঠামো নির্মাণ, বসবাস এমনকি সন্তানকে স্কুলে পাঠানোর পরিকল্পনা করা যাবে। কোথাও দূষণের হার অত্যাধিক থাকলে সেখানে শিল্প-কারখানাগুলো স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করা যাবে। সরকার চাইলে ঘরে বসেই এয়ার কোয়ালিটি মনিটর বসিয়ে যেকোনো জায়গা থেকে বাতাসে দূষণের পরিমাণ সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারবে। এতে আমাদের দেশে পরিবেশ সচেতনতা বাড়বে।
তিনি আরও জানান, অ্যাপলম্বটেক বিডি উদ্ভাবিত এয়ার কোয়ালিটি মনিটর যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলছে। ফলাফল একই হয় কিনা তা যাচাই করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত এয়ার কোয়ালিটি সেন্সর লেজার এগের ডাটার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে ০ থেকে ৫০০’র মধ্যে নাম্বার এবং বাতাসের পরিশুদ্ধতা জানানো হয়। ০-৫০’র মধ্যে ডাটা আসলে গুড, ৫১-১০০’র মধ্যে মডারেট, ১০১-১৫০’র মধ্যে আনহেলদি ফর সেনসিটিভ গ্রুপ, ১৫১-২০০’র মধ্যে আনহেলদি, ২০১-৩০০ ভেরি আনহেলদি এবং ৩০১-৫০০’র মধ্যে আনহ্যাজার্ড হিসেবে ডাটা উপস্থাপন করবে।
সম্প্রতিক সময়ে এ মনিটর উদ্ভাবন করা হয়েছে। এখনও বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়নি। সবমিলিয়ে এয়ার কোয়ালিটি সেন্সরের দাম পাঁচ হাজার টাকার মধ্যেই থাকবে বলে জানান অ্যাপলম্বটেক বিডির সিইও সাইফুল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৭
এনটি/আইএ