ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

শেখ হাসিনা আইটি পার্কের উদ্বোধন রোববার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
শেখ হাসিনা আইটি পার্কের উদ্বোধন রোববার শেখ হাসিনা আইটি পার্ক

যশোর: তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন সারথি যশোরের ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে’র উদ্বোধন রোববার (১০ ডিসেম্বর)। সকাল ১১টায় রাজধানীর গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পার্কটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

পার্ক মিলনায়তনে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির সঙ্গে সংযুক্ত হবে যশোরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই সব প্রস্তুতি শেষ করেছে।

 
 
জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) ক্যাম্পাস উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোরে বিশ্বমানের আইটি পার্ক স্থাপনের ঘোষণা দেন। সে অনুযায়ী ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল যশোরের বেজপাড়া শংকরপুর এলাকায় ২ লাখ ৩২ হাজার বর্গফুট জায়গার উপর ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পার্কের নির্মাণকাজ শুরু হয়।  

সরেজমিনে দেখা গেছে, আন্তর্জাতিক মানসম্মতি এই টেকনোলজি পার্কে রয়েছে ভূমিকম্প প্রতিরোধক কম্পোজিট (স্টিল ও কংক্রিট) কাঠামোতে নির্মিত একটি ১৫ তলা এমটিবি (মাল্টি ট্যানেন্ট বিল্ডিং) ও একটি পাঁচ তারকা মানের ১২ তলা ডরমেটরি (আবাসিক) ভবন। এছাড়াও কনভেনশন সেন্টারের সঙ্গে আন্ডারগ্রাউন্ডে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

১৫ তলাবিশিষ্ট মূল ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে ১৪ হাজার বর্গফুট করে জায়গা রয়েছে। এছাড়া বিদেশি উদ্যোক্তাদের চাহিদা বিবেচনা করে আবাসন ভবনটির ১১ তলার পুরো ফ্লোরটিতে আন্তর্জাতিক মানের জিমনেশিয়াম গড়ে তোলা হয়েছে। উভয় ভবনে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ৩৩ কেভিএ বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, দুই হাজার কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটর এবং ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির ব্যবস্থা রয়েছে। ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারের ব্যাকআপ রাখার জন্য স্থাপন করা হয়েছে ডিজাস্টার রিকভারি ডাটা সেন্টার।  

সংশ্লিষ্টরা জানান, পার্কটিতে মূলত সফটওয়্যার উন্নয়ন, ফ্রিল্যান্সিং/আউটসোর্সিং, কল সেন্টার, তথ্যপ্রযুক্তি-সংক্রান্ত রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ও উন্নয়নসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ হবে। এর মাধ্যমে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার তরুণ উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অন্য দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন। পার্ক চালুর প্রথম দিকেই এ অঞ্চলের ১২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

আইটি পার্কের প্রকল্প পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, এই পার্কে দেশি-বিদেশি প্রায় ৪০টি আইটি কোম্পানিকে জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকটি কোম্পানি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। জায়গা বরাদ্দের জন্য আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে আরও ১৫টি কোম্পানিকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।  

পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে অগ্নি সিস্টেমস, সাজ টেলিকম, স্পেকট্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স কনসোর্টিয়াম লিমিটেড, দোহাটেক নিউ মিডিয়া, কাজী আইটি সেন্টার, ইনফোটেক, ই-জেনারেশন লিমিটেড, বাক্য, ডিজিকন টেকনোলজিস, এম্বার আইটি লিমিটেড উল্লেখযোগ্য।

বাংলাদেশ সময়: ০৬১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
এনএইচটি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।