এদিন ১০টি ক্যাটাগরিতে ভিয়েতনামসহ এপিকটা সদস্যভুক্ত আরও ১৩টি দেশের ১৩৮টি দেশের প্রকল্পের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বাংলাদেশের প্রকল্পগুলো।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দিনের প্রতিযোগিতা।
বিজনেস সার্ভিস (প্রফেশনাল সার্ভিস) ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের আরও দুইটি প্রকল্প ইজি জবস এবং এ আই ড্রাইভেন প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার অ্যান্ড পিএমও ড্যাশবোর্ড। বাংলাদেশের দলগুলোকে বিপাকে ফেলতে একই ক্যাটাগরিতে আরও থাকছে সিঙ্গাপুর, মালেশিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড, চাইনিজ তাইপে, চীন এবং পাকিস্তান। এসব দেশের মোট ১২টি প্রকল্পের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বাংলাদেশের প্রকল্পগুলো।
এছাড়াও কনজিউমার মার্কেটপ্লেস অ্যান্ড রিটেইল ক্যাটাগরিতে আইসিটি বিভাগের এক শপ এবং ইন্টেলিজেন্ট কম্পিউটার ভিশন টেকনোলজি ফর ভিডিও এনালিটিকস, ইনক্লুশন (হেলথ অ্যান্ড ওয়েল বিয়িং) ক্যাটাগরিতে সিইমইডি ডিজিটাল প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস মডেল, ইনক্লুশন (জেনারেল) ক্যাটাগরিতে শাটল, ইজিয়ার অ্যাম্বুলেন্স, কৃষ্টি বাই বাগডুম এবং সিটিজেন হেল্প ডেস্ক।
অন্যদিকে, বিজনেস সার্ভিস (আইসিটি সিকিউরিটি অ্যান্ড সল্যুশন) ক্যাটাগরিতে উই রিচ, পিজি ট্র্যাকার, পাবলিক সেক্টর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড সিটিজেন সার্ভিস ক্যাটাগরিতে ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার (৩৩৩) এবং দূতাবাস, স্টুডেন্ট (জুনিওর) ক্যাটাগরিতে সূর্যমুখী প্রাণী সেবা, টেকনোলজি (ইন্টারনেট অন থিংস) ক্যাটাগরিতে পিজি ট্র্যাকার, টেকনোলজি (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ক্যাটাগরিতে এ আই ড্রাইভেন প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার অ্যান্ড পিএমও ড্যাশবোর্ড এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ক্যাটাগরিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে প্রাইড কাট এবং লোগিটা।
এদিকে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসই আছে বাংলাদেশের দলগুলোর মাঝে। গত বছর (২০১৮ সাল) এপিকটার ১৮তম আসরে একটি ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ানসহ মোট পাঁচটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছিল বাংলাদেশ।
গতবারের থেকে এবার আরও ভালো কিছু করার প্রত্যাশা দলগুলোর। ইজিয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আশাবাদী ভালো কিছু করার। সেই অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। এখন শেষ মুহূর্তে নার্ভ ঠিক রেখে সবকিছু ঠিকঠাকভাবে করতে পারলেই হয়।
এদিকে প্রতিযোগীদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নিজেদের পিচিং দেওয়ার পরামর্শ দেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। বাংলানিউজের মাধ্যমে প্রতিযোগীদের সাহস যুগিয়ে তিনি বলেন, আপনারা যখন পিচিং করবেন তখন আপনাদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সেটি করতে হবে।
‘একইসঙ্গে বিচারকদের দেখাতে হবে যে, আপনারা নিজেরাই আপনাদের প্রজেক্টের ওপর বিশ্বাস রাখেন। সেই জিনিসটা বিচারকেরা বুঝতে পারেন যে, আপনি আপনার প্রজেক্টের ওপর বিশ্বাস রাখেন কি না। আপনার প্রজেক্ট ব্যবসার জন্য সম্ভাবনাময়ী সেটা দেখাতে হবে। আর অবশ্যই সময় মেনে পিচিং করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে বাকি যারা নমিনি আছেন, আমি তাদের শুভেচ্ছা জানাই,’ যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
এসএইচএস/এসএ
আরও পড়ুন>>>মেধাবীদের দেশেই রাখতে চান বেসিস সভাপতি
** এপিকটায় শেষ হলো বাংলাদেশের দলগুলোর ইকুইপমেন্ট টেস্ট
** ঘণ্টা বাজিয়ে শুরু হলো এপিকটার ১৯তম আসর
** প্রথম রাউন্ডে পিচ করলো দেশের ১৬টি দল