ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ঝুলন্ত তার মাটির নিচে নিলেও বাড়বে না ইন্টারনেটের দাম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২০
ঝুলন্ত তার মাটির নিচে নিলেও বাড়বে না ইন্টারনেটের দাম ফাইল ছবি

ঢাকা: ঝুলন্ত তার সরাতে গিয়ে ইন্টারনেটের দামের প্রভাব গ্রাহকের ঘাড়ে পড়বে না বলে জানিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

রাজধানীর ঝুলন্ত তারের সমস্যা, অপসারণ, বিনিয়োগকারী ও গ্রাহকের উদ্বেগের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বিটিআরসির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) এক সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রমনায় কমিশনের কার্যালয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী সংগঠন আইএসপিএবি, এনটিটিএন অপারেটর প্রতিনিধি এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা রাজধানীতে টেকসই ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নিজস্ব অবস্থান এবং উদ্ভূত প্রতিবন্ধকতা নিরসনে সমন্বিত উদ্যোগের আহবান জানান।

রাজধানীর ঝুলন্ত তারের সমস্যা সমাধানে বিটিআরসির সমন্বয় সভা

কমিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এহসানুল কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আইএসপিএবি সভাপতি এম এ হাকিম সমস্যা সমাধানে কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন। সিটি কর্পোরেশন নগরীর তারের জঞ্জাল অপসারণে উদ্যোগী হওয়ায় উপস্থিত সবাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বেসরকারি এনটিটিএন অপারেটর সামিট ও ফাইবার অ্যাট হোমের পক্ষ থেকে একটি উপস্থাপনার মাধ্যমে রাজধানীর অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবস্থাপনার একটি চিত্র তুলে ধরা হয়। ফাইবার অ্যাট হোমেরর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুর রহমান তার প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ পরিস্থিতি ও বর্তমান প্রেক্ষিত এ বক্তব্য দেন।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে প্রধান প্রকৌশলী মুহ. আমিরুল ইসলাম জানান, নগরীতে কোনো ঝুলন্ত তার না রাখার পক্ষে তার সংস্থা। তবে ঝুলন্ত অবস্থায় তার না রেখে কীভাবে মাটির নিচে দিয়ে তারের মাধ্যমে সেবা দেওয়া যায় এ বিষয়ে একটি মডেল উপস্থাপন করেন তিনি।

দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়, ইতোমধ্যে ধানমন্ডির রাইফেল স্কয়ার থেকে ২৭ নম্বর পর্যন্ত ঝুলন্ত তার ব্যবস্থাপনার একটি পাইলট প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

উপস্থিত সবাই দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রদর্শিত মডেলের ও কার্যক্রমের ভূয়সী প্রসংসা করেন এবং এ বিষয়ে সকল প্রকার সহযোগিতার বিষয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছান।

বিটিআরসির পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। কিন্তু লক্ষ্য রাখতে হবে আমরা যেন সবাই সবার জায়গা থেকে দেশের আইন, বিধান ও সংশ্লিষ্ট গাইডলাইনের বাইরে না যাই।

ইন্টারনেটের দামের বিষয়ে বলা হয়, ট্যারিফ নির্ধারণের বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সাথে বিটিআরসি কাজ করছে এবং একটা ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।

এ বিষয়ে বিটিআরসির এক কর্মকর্তা বলেন, ঝুলন্ত তার সরাতে গিয়ে ইন্টারনেটের দাম যাতে না বাড়ে- এ জন্য একটি কমিটি করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।

এ বিষয়ে সভাপতির বক্তব্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা চাই নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট, তা আমরা পাব। সিটি কর্পোরেশন আমাদের কিছুটা সময় দেবে আশা করছি। যেকোনো উদ্যোগই আমরা নেই না কেন তার ক্ষেত্রে দামের প্রভাব গ্রাহকের ওপর পড়বে না, তা নিশ্চিত করছি। কমিশনের লাইসেন্সের কোনো সমস্যা থাকলে অবশ্যই কমিশন তা দেখবে এবং তার সমাধানের চেষ্টা কবে, এটা আশ্বস্ত করছি। বিটিআরসি, এনটিটিএন, আইএসপি অপারেটর এবং সিটি কর্পোরেশন সবার সমন্বিত উদ্যোগের ফলে আমরা অচিরেই এ সমস্যা সমাধান করতে পারব।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদুল আলম, সিস্টেমস এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা কামাল, বিটিসিএলের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী রাম কৃষ্ণ রায়, সামিট কমিউনিকেশনের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার অফিসার আলী মোর্তুজা খান, কোয়াব প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম আনোয়ার পারভেজ, আইএসপিএবি সাধারণ সম্পাদক মো. এমদাদুল হক এবং বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২০
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।