সিরাজগঞ্জ: দেশে প্রথমবারের মতো গাড়ি তৈরির কাজে হাত দিয়েছেন সিরাজগঞ্জের জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক দৈনিক যমুনা প্রবাহের সম্পাদক মোস্তফা কামাল।
তার নির্মাণাধীন সেই গাড়ি দেখতে এসেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অটো মোবাইল ক্লাবের অটো মায়েস্ত্রো টিমের সদস্যরা।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) সিরাজগঞ্জ শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মির্জা সড়কস্থ যমুনা প্রবাহ কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় নির্মাণাধীন গাড়িটি দিনভর পর্যবেক্ষণ করেন আট সদস্যের এ টিম।
টিমের সদস্যরা হলেন বুয়েটের যন্ত্র কৌশল বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র নাজমুল হক, তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সাদিফ ফারদিন, তৌফিক সাদমান, উমাইর আল হাম্মাদ, রাশেদ নিজাম, নুজরাত নাওয়াল, রাফিয়া রিজওয়ানা রহিম ও ফুয়াদ জারিফভ।
গাড়িটির নির্মাণশৈলীর প্রশংসা করে প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, বুয়েটের প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আশিকুর রহমান স্যারের নির্দেশে আমরা এ গাড়িটি দেখতে এসেছি। আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি। অতি সাধারণ, জটিলতামুক্ত, টেকসই এবং স্বল্পমূল্যের গাড়ি হবে এটি। সম্পূর্ণ নতুন ডিজাইনের এ গাড়িটি আমাদের দেশের আবহাওয়া ও পরিবেশের জন্য উপযোগী হবে। আমরা এর নকশা ও প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে অটো মোবাইল ক্লাবে উপস্থাপন করবো। আশা করছি, এ গাড়িটি উৎপাদন সম্ভব। সেটা হলে এটিই হবে বাংলাদেশে নির্মিত প্রথম কোনো গাড়ি।
মোস্তফা কামাল বলেন, একটি সহজ, সাধারণ, জটিলতামুক্ত, টেকসই এবং স্বল্পমূল্যের গাড়ি তৈরি করাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। গত বছরের নভেম্বর থেকে গাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছি। এটি একটি এলপিজি ও পেট্রোল চালিত ডাবল ক্যাপ পিকআপ ভ্যান হবে। গাড়ি তিনটি অংশে ভাগ হবে। যার প্রথম অংশে সামনের কেবিনে চালক ও একজন যাত্রী, এর পেছনের সিটে তিনজন যাত্রী বসতে পারবেন। দ্বিতীয় অংশের কেবিন মাঝখানে। সেখানেও তিনজন যাত্রী বসতে পারবেন। শেষে মালপত্র পরিবহনের জন্য একটি ডালা থাকবে। গাড়ির দৈর্ঘ্য ১৫ ফুট (হায়েস মাইক্রোবাসের সমান) ও প্রস্থ পাঁচ ফুট হবে। এরই মধ্যে চেসিস নির্মাণের কাজ ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে। জাপানি টয়োটা কোম্পানির ১৮০০ সিসি ৭কে ইঞ্জিনও চেসিসের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। দুই-এক মাসের মধ্যে গাড়িটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত করতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
এসআই