ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

রাজশাহীতে ‘অনলাইন পশুর হাট’ আগ্রহ বাড়াচ্ছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৬ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২১
রাজশাহীতে ‘অনলাইন পশুর হাট’ আগ্রহ বাড়াচ্ছে

রাজশাহী: করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে দেশজুড়ে চলছে সরকার ঘোষিত ‘কঠোর লকডাউন’। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে হাটে গিয়ে কোরবানির পশু কেনার সুযোগ কতটা মিলবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।

এমন বাস্তবতায় হাটের অপেক্ষা না করে কোরবানির পশু কেনার জন্য অনেকেই ঝুঁকছেন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। বিশেষজ্ঞরাও স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে অনলাইনের মাধ্যমে পশু ক্রয়-বিক্রয়ের পরামর্শ দিয়েছেন। তাই এবার রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় চালু হয়েছে 'অনলাইন পশুর হাট'। আর যাত্রা শুরুর তিন দিনের মধ্যেই ক্রেতার কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছের উদ্যোগে ফেসবুকে ‘পুঠিয়া উপজেলা অনলাইন কুরবানির পশুর হাট’ নামে একটি গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এ গ্রুপে স্থানীয় খামারি ও ব্যবসায়ীরা পশুর ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য দিয়ে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন। এজন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণাও চলছে।

অনলাইনে পশুর হাট কার্যকর করার লক্ষ্যে তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করা হয়েছে। যেসব খামারি বা কৃষকদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই বা অনলাইনে অদক্ষ তাদের পশুকে অনলাইনের আওতায় আনবেন সেচ্ছাসেবক টিম। তারা খামারিদের বাড়ি গিয়ে প্রয়োজনীয় ছবি, ভিডিও, মূল্যসহ সব তথ্য সংগ্রহ করবেন। এরপর ওই তথ্য ফেসবুক গ্রুপে সাইডে পোস্ট দেবেন। ক্রেতারা এখান থেকে নিজেদের পছন্দের গরু বাছাই করতে পারবেন। এমন কার্যক্রমের ফলে কোরবানির আগে এ কয়েকদিনের মধ্যেই অনলাইন গ্রুপটি সাধারণ মানুষের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে। ঈদ উপলক্ষে সবাই কোরবানির পশু কিনতে হাটে ভিড় করবে। হাটের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অনেক কঠিন। ফলে করোনার সংক্রমণ বাড়া সম্ভব অনেক বেশি। এ সময়ে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনলাইনে পশু কেনা-বেচার মাধ্যমটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এতে ক্রেতারা খুব সহজেই স্বাস্থ্যঝুঁকি ছাড়া পছন্দের পশু কিনতে পারবেন।

অনলাইনে হাটের বিষয়ে উপজেলার নুরুল ইসলাম নামে এক খামারি বলেন, আমি অনলাইনের বিষয়ে অদক্ষ। তাই প্রতিবেশী একজনের মাধ্যমে অনলাইনে দু’টি গরুর বিক্রির তথ্য দেই। পরবর্তী দু’দিনে পাঁচজন গ্রাহক মোবাইলের মাধ্যমে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরইমধ্যে দামও ঠিক হয়ে গেছে। আশা করছি খুব দ্রুতই গরু বিক্রি হয়ে যাবে।

জানতে চাইলে ইউএনও নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, সবার স্বাস্থ্য সচেতনার বিষয় মাথায় রেখে আসন্ন কোরবানির ঈদের জন্য পশু অনলাইনের মাধ্যমে বেচাকেনা করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এ উদ্যোগ পরিচালনা করতে কিছু তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করা হয়েছে। যারা গরুর খামারি ও গ্রাহককে অনলাইনে গরু কিনতে সব ধরনের সহায়তা করছেন। এতে খুব সহজেই মানুষজন হাটে না গিয়ে পছন্দের পশু কিনতে পারবেন।

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম হিরা বাচ্চু বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে হাটে গিয়ে গরু ক্রয়-বিক্রয় অত্যন্ত ঝুঁকির ব্যাপার। এখন অনলাইনের সাহায্যে বাড়িতে বসে গরু কেনা সম্ভব। অনলাইন মাধ্যমে প্রতিটি পশুর বিস্তারিত তথ্য ও মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা ব্যবস্থা থাকছে। ফলে খুব সহজেই গ্রাহক পছন্দ অনুসারে পশু কিনতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২১
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।