ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

কুরিয়ার সার্ভিসের মনিটরিং কার্যক্রম ডিজিটাইজ করার নির্দেশ মন্ত্রীর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২২
কুরিয়ার সার্ভিসের মনিটরিং কার্যক্রম ডিজিটাইজ করার নির্দেশ মন্ত্রীর

ঢাকা: কুরিয়ার সার্ভিসসমূহের প্রশাসনিক সিস্টেমসহ মনিটরিং কার্যক্রম পুরোপুরি ডিজিটাইজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, এর ফলে নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে জবাবদিহিতার পাশাপাশি মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিসসমূহের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে, দেশ-জাতি উপকৃত হবে।  

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকায় জিপিওতে মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, চিঠিপত্রের যুগ শেষ হয়ে গেলেও ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ফলে ডাক সেবা বিকাশের অফুরন্ত সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রচলিত বিপণন ব্যবস্থায় বিক্রেতাদের জায়গায় ডিজিটাল কমার্সের প্রসার লাভ করায় গ্রাহক মোবাইলের বাটন টিপে তার নিত্য ব্যবহারের পণ্য ঘরে বসে পেতে চায়। এর ফলে ডাক ব্যবস্থার বিকাশের সুযোগ আরও বেড়েছে। ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ডিজিটাল যুগের উপযোগী ডাক ব‌্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ডাকঘর ডিজিটাইজেশনের পথ নকশা আমরা তৈরি করছি। খুব শিগগিরই তা বাস্তবায়ন শুরু হবে। এরই মধ্যে কিছু সেবা আমরা ডিজিটালাইজ করেছি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ডিজিটাল যুগের উপযোগী ডাক ব‌্যবস্থা ইতোমধ্যে ১৪টি শর্টিং সেন্টার নির্মাণ ও ডিজিটাইজ করা হচ্ছে। চালু করেছি পস মেশিন। একইসঙ্গে রেলে চিলিং বগি ও ডাকের অন্যান্য গাড়িতে চিলিং ভ্যান চালু করার উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি।  

ডিজিটাল বাণিজ্যের সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডাকঘর ডিজিটাল করা অপরিহার্য উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল চিঠিপত্রের যুগ শেষ হওয়ায় দুর্দশাগ্রস্ত ডাক সার্ভিসকে একটা ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। আমরা ইতোমধ‌্যে সেটা পেরেছি। দেশব্যাপী ডাকঘরের যে বিশাল অবকাঠামো ও জনবল আছে তা দেশের অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানের নেই। মন্ত্রী মেইলিং ও কুরিয়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে শক্তিশালী করণে যথাযথ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।  

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব-উল-আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফয়জুল আজিম বক্তব্য দেন। মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. মো. মহিউদ্দিন মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন।

ঢাকা জিপিও’র প্রশাসনিক কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের নতুন এ কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২২
এমআইএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।