প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলোকে ক্ষমতাচ্যুত করায় ও গ্রেফতারের ঘটনায় পেরুর বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ চলমান। এসব বিক্ষোভে সম্প্রতি ২০ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারা দেশে রাজনৈতিক সংকট পরিস্থিতি। এ অবস্থা নিরসনে জরুরি পর্যায়ের আলোচনা শুরু করেছেন পেরুর রাজনীতিকরা। সব রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত কাউন্সিল অব স্টেট ও গির্জার নেতারা রাজধানী লিমায় জড়ো হয়েছেন।
কাস্তিলোকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সরকারের দুই মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। সহিংস বিক্ষোভ হচ্ছে সারা দেশে। গত কয়েকদিনের বিক্ষোভ-আন্দোলনে ২০ জন মারা গেছেন। জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচিতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ব্যাপক এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আন্দোলনকারীরা স্থানীয় একটি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছেন। তারা রানওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে আন্দোলন করছেন। অনেক রাস্তা বন্ধ। আটকা পড়েছেন বহু নাগরিক।
পেরুর শহর কুস্কোর মেয়র জানিয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলোর সমর্থকরা বিমানবন্দরের টার্মিনালে তাণ্ডব শুরু করে। পরে কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরটি বন্ধ ঘোষণা করে। রাজধানীতে নীতি নির্ধারকদের আলোচনা শুরু হয়েছে। দ্রুত সংকট নিরসনে তারা ব্যবস্থা নেবেন।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তামা উৎপাদনকারী দেশ পেরুর বর্তমান প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্ট। গত ৭ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে আয়োজিত ভোটে কাস্তিলোকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন দিনা। পরে সমর্থকদের রাজপথে আন্দোলন করার ডাক দেন কাস্তিলো। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকেই পেরু জুড়ে বিক্ষোভ করছে সমর্থকরা।
কাজামারকা, আরেকুইপা, হুয়ানকায়ো, কুসকো এবং পুনোসহ পেরুর অভ্যন্তরীণ শহরগুলোয় ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২২
এমজে