আবেগঘন একটি বিষয় গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন ডিউক অব সাসেক্স হেনরি চার্লস এলবার্ট ডেভিড (প্রিন্স হ্যারি)। ১৯৯৭ সালে মা প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুতে শুধুমাত্র একবার কেঁদেছিলেন তিনি।
‘স্পেয়ার’ নামে নিজের আত্মজীবনী প্রকাশের বিষয়ে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রিন্স হ্যারি এ তথ্য জানান। তিনি বর্ণনা করেছেন, কেন তিনি ও প্রিন্স উইলিয়াম মায়ের মৃত্যুতে জনসম্মুখে আবেগ দেখাতে অক্ষম ছিলেন।
সাক্ষাৎকারের একপর্যায়ে আইটিভির টম ব্র্যাডবিকে হ্যারি বলেন, তার মাকে কবর দেওয়ার সময় তিনি কেঁদেছিলেন। ওই সময় কেনসিংটন প্রাসাদের বাইরে থাকা ফুলের রেখে ভিড়ের মধ্যে হাঁটতে ‘কিছু অপরাধবোধ’ করেছিলেন।
প্রিন্স হ্যারির জীবনে প্রিন্সেস ডায়ানার অনুপস্থিতি আত্মজীবনী স্পেয়ার জুড়ে একটি থিম হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
ডিউক অব সাসেক্স হেনরি চার্লস এলবার্ট ডেভিড (প্রিন্স হ্যারি) আগামী সপ্তাহে আত্মজীবনীটি প্রকাশ করতে যাচ্ছেন। কিন্তু তার আগেই বইটির কিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে।
আইটিভি-তে দেওয়া সাক্ষাত্কারে প্রিন্স হ্যারি বলেন। ‘সবাই জানেন তারা কোথায় ছিল’- যখন তার মা ১৯৯৭ সালের আগস্টে প্যারিসে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান।
‘মায়ের মরদেহ রেখে আমরা চারপাশে হেঁটে বেড়াচ্ছিলাম। এটি কতটা অদ্ভুত ও অপরাধবোধ ছিল- যা আমি অনুভব করেছি। আমি মনে করি উইলিয়ামও একইরকম অনুভব করেছিলেন। মাকে সমাহিত করার সময় আমি একবার কেঁদেছিলাম। স্পেয়ারে আপনারা এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। ’
‘মায়ের কাছাকাছি ৫০ হাজার ফুলের তোড়া ছিল। সেখানে আগতদের সঙ্গে আমরা হাত মেলাচ্ছিলাম, কুশল বিনিময় করছিলাম, হাসছিলাম....। ’
হ্যারি বলেন, ‘সবার সঙ্গে হাত মেলানোর সময় আমাদের হাত কাঁপছিল। তাদের হাত অশ্রু দ্বারা ভেজা ছিল। ’
স্পেয়ারে মায়ের কফিনের পেছনে প্রিন্স হ্যারির হাঁটার বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
প্রিন্স হ্যারি যোগ করেন, ‘আমরা ছিলাম মায়ের সবচেয়ে কাছের দুইজন মানুষ। তার সবচেয়ে প্রিয় দুইজন। কিন্তু সেই মুহূর্তে আমরা মায়ের প্রতি আবেগ দেখাতে অক্ষম ছিলাম। ’
সূত্র: বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২৩
এমএইচএস