মার্কিন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রতি সাড়া দিয়ে আংশিকভাবে সেগুলো গ্রহণ করেছে হামাস, তবে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আরও আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, ‘তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাবে থাকা বিনিময় সূত্র অনুসারে জীবিত সব ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে’-যদি বিনিময়ের জন্য ক্ষেত্রগত শর্ত পূরণ করা হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রোববার (৫ অক্টোবর) ওয়াশিংটন সময় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গাজার জন্য মার্কিন শান্তি পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য হামাসকে সময়সীমা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই এ ঘোষণা আসে।
শান্তি পরিকল্পনায় অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করার এবং হামাস কর্তৃক আটক ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে - এবং মৃত বলে মনে করা জিম্মিদের দেহাবশেষ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, যার বিনিময়ে শত শত গাজাবাসীকে মুক্তি দেওয়া হবে।
এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, তারা "ফিলিস্তিনি জাতীয় ঐকমত্য এবং আরব ও ইসলামী সমর্থনের ভিত্তিতে গাজা উপত্যকার প্রশাসন স্বাধীন ফিলিস্তিনি সংস্থার (টেকনোক্র্যাট) কাছে হস্তান্তরের চুক্তি পুনর্নবীকরণ করছে"।
তবে এতে আরও বলা হয়েছে, গাজার ভবিষ্যৎ এবং ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলোর অংশটি এখনও "একটি জাতীয় কাঠামোর মধ্যে" আলোচনা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, রোববার (৫ অক্টোবর) ওয়াশিংটন সময় সন্ধ্যা ৬টা (গ্রিনিচ মান সময় রাত ১০টা) এর মধ্যেই চুক্তি করতে হবে। যদি এ প্রস্তাব গ্রহণ না করা হয় তবে হামাসের ওপর 'অভূতপূর্ব নরক নেমে আসবে। '
তিনি আরও লেখেন, এটাই চুক্তির শেষ সুযোগ। যদি তা না হয়, তবে হামাসের বিরুদ্ধে এমন নরক নেমে আসবে যা আগে কেউ কখনও দেখেনি। যেভাবেই হোক মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
ট্রাম্পের প্রস্তাবে হামাসকে ইতিবাচক সাড়া দিতে চাপ দিচ্ছেন আরব এবং তুরস্কের মধ্যস্থতাকারীরা। তবে গোষ্ঠীটি ট্রাম্পের এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন হামাসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা।
সূত্র: বিবিসি
জেএইচ