গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা ফিলিস্তিনপন্থী ত্রাণবাহী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলাকে তাদের নৌবাহিনী আটক করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। বেশিরভাগ নৌযানকে গাজায় পৌঁছানো থেকে বিরত রাখা হলেও, বহরের থাকা মিকেনো নামে একটি জাহাজ নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য!
লাইভ ট্র্যাকিংয়ের তথ্য অনুযায়ী, মিকেনো জাহাজটি ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভেদ করে ফিলিস্তিনি জলসীমার ভেতর গাজা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছেছিল।
২০০৯ সালে ইসরায়েল গাজার জলসীমায় নৌ অবরোধ জারি করার পর এটাই প্রথমবার কোনো অনুমোদনহীন মানবিক ত্রাণবাহী নৌযান ৭০ নটিক্যাল মাইল দূরত্ব অতিক্রম করে এত কাছাকাছি পৌঁছল।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উসকানিমূলক বহরের একটি শেষ নৌযান এখনো দূরে অবস্থান করছে। এটি যদি অগ্রসর হয়, তবে সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ ও অবরোধ ভাঙার চেষ্টা প্রতিহত করা হবে।
৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান নিয়ে গঠিত এই বহরে ছিলেন প্রায় ৫০০ জন কর্মী, সংসদ সদস্য ও আইনজীবী। তাদের মধ্যে ছিলেন সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও। বুধবার রাতে গাজার উপকূল থেকে প্রায় ৭৫ মাইল দূরে ইসরায়েলি বাহিনী বহরের অধিকাংশ নৌযান আটক করে।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নেতৃত্বাধীন ‘আলমা’ জাহাজে সেনাদের মাঝে বসে আছেন থুনবার্গ। আটক হওয়ার আগে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ভিডিওবার্তায় তিনি বলেছিলেন, আমার নাম গ্রেটা থুনবার্গ। আমি বর্তমানে আলমা জাহাজে আছি। আমরা এখন ইসরায়েলের হাতে আটক হতে যাচ্ছি।
পরে থুনবার্গসহ আটক কর্মীদের গ্রেপ্তার করে ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফ্লোটিলার সব কর্মীকে দ্রুত দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
এমজে