বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষের স্বীকৃতি পাওয়া ফ্রান্সের লুসিল র্যান্ডন মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ১১৮ বছর।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দক্ষিণ ফ্রান্সের শহর টউলনের সেন্ট-ক্যাথরিন-লাবোর নার্সিং হোমে ঘুমের মধ্যে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৯৪৪ সালে লুসিল র্যান্ডন সন্ন্যাসী হন। তখন তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করেন সিস্টার আন্দ্রে রাখেন।
সেন্ট-ক্যাথরিন-লাবোর নার্সিং হোমের মুখপাত্র ডেভিড তাভেলা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘এটি বড় দুঃখের.... এটি তার প্রিয় ভাইয়ের সঙ্গে যোগদান, যা তার ইচ্ছা ছিল। তার জন্য, এটি মুক্তি। ’
র্যান্ডন ১৯০৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ওই বছর নিউইয়র্কে প্রথমবারের মতো সাবওয়ে চালু করা হয়েছিল।
লুসিল র্যান্ডনকে ইউরোপের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। লুসিলের আগে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন জাপানের কেন তানাকা। তিনি ২০২২ সালে ১১৯ বছর বয়সে মারা যান। এরপর ওই বছরের এপ্রিলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে নাম লেখান এ ফরাসি নারী।
নিজের ১১৬তম জন্মদিনে বার্তা সংস্থা এএফপিকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন লুসিল র্যান্ডন। ওই সময় নিজের পরিবার নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তার জীবনের সবচেয়ে সেরা মুহূর্তটি এসেছিল ১৯১৮ সালে। সে বছর তার দুই ভাই একসঙ্গে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে বাড়িতে এসেছিলেন।
র্যান্ডন ২৬ বছর বয়সে ব্যাপ্টিজম গ্রহণ করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
এমএইচএস