ভারতের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের যুদ্ধংদেহী মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘যদি ভারত আবারও হামলার চেষ্টা করে, তবে এবার তারা নিজেদের যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়বে।
রোববার (৫ অক্টোবর) ভোরে নিজের ভেরিফায়েড এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে তিনি এই জবাব দেন।
খাজা আসিফ তার পোস্টে লিখেছেন, ভারতীয় সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের বক্তব্য তাদের হারানো সুনাম পুনরুদ্ধারের একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা। ০-৬ ব্যবধানে এত বড় পরাজয়ের পর, যদি তারা আবার চেষ্টা করে, তাহলে ফলাফল আল্লাহর ইচ্ছায় আগের চেয়ে অনেক ভালো হবে। ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ পরাজয়ের পর ভারতের জনমত যেমন সরকারের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছিল, তেমনি মোদী এবং তার দলের ওপর তাদের সুনাম হারানোর চাপ নেতৃত্বের বক্তব্যে স্পষ্ট। পাকিস্তান আল্লাহর নামে নির্মিত একটি রাষ্ট্র। আমাদের রক্ষকরা আল্লাহর সৈনিক। ভারত যদি আবারও পাকিস্তানের সীমান্তে আগ্রাসন চালানোর দুঃসাহস দেখায়, এবার তারা নিজেদের বিমান ধ্বংসাবশেষের নিচেই সমাহিত হবে। আল্লাহু আকবার। ”
এর আগে পাকিস্তানের সামরিক জনসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর)–ও ভারতের বক্তব্যকে ‘উসকানিমূলক ও যুদ্ধোন্মাদ’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, ভারত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সংঘাত উস্কে দেওয়ার অজুহাত খুঁজছে।
দুই দেশের পাল্টাপাল্টি দাবি
পাকিস্তান দাবি করেছে— গত মে মাসে সীমান্তসংঘর্ষে তারা ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে তিনটি রাফায়েলও ছিল। অন্যদিকে ভারত দাবি করেছে, তারা পাকিস্তানের পাঁচটি যুদ্ধবিমান (এফ–১৬ ও জেএফ–১৭) নামিয়েছে। তবে উভয় পক্ষের দাবির পক্ষে কোনো স্বাধীন প্রমাণ হাজির করা হয়নি।
আইএসপিআর সতর্ক করে বলেছে, নতুন কোনো সংঘাত শুরু হলে তা ‘বিধ্বংসী পরিণতি’ বয়ে আনবে এবং পাকিস্তান কোনোভাবেই পিছু হটবে না।
বিশ্লেষকদের উদ্বেগ
বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশীর এমন উত্তপ্ত বাক্যযুদ্ধ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে। অনেকের মতে, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপ সামাল দিতে দুই দেশের নেতৃত্ব শক্ত অবস্থান প্রদর্শনের প্রতিযোগিতায় নেমেছে, যা ভুল হিসাবের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলছে।
এনডি