সুইডেনে পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআর শরীফ পুড়িয়ে অবমাননার ঘটনায় গোটা মুসলিম বিশ্ব ফুঁসে উঠেছে। নিন্দা প্রকাশ করেছে ইউরোপ-আমেরিকা-আফ্রিকা-এশিয়ার মুসলিম দেশগুলো।
আল জাজিরার একটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। খবরে বলা হয়, সুইডেনে তুরস্কের দূতাবাসের সামনে উগ্র ডানপন্থী রাজনৈতিক দল হার্ড লাইনের নেতা রাসমুস পালুদানের কোরআন পোড়ানো ও তাদের বিক্ষোভের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আঙ্কারা। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে তুরস্ক সুইডেনকে সমর্থন দেবে, এমন আশা করা উচিত নয়।
সুইডেনকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, আপনারা যদি ইসলামের শত্রু-সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যদেরই ভালোবাসেন, দেশের নিরাপত্তায় তাদের কাছে গিয়ে সমর্থন চান।
এটি পরিষ্কার, যারা আমাদের দেশের দূতাবাসের সামনে এ ধরনের জঘন্য কাজ করতে পারে তারা আমাদের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাবে না। আপনারা সন্ত্রাসীদের আমাদের দূতাবাসের সামনে যা খুশি তা করতে দেবেন, এরপর ন্যাটোয় আমাদের সমর্থন প্রত্যাশা করবেন তা হবে না। সুইডেন যদি তুরস্ক ও মুসলিমদের প্রতি সম্মান না জানায় তাহলে ন্যাটোবিষয়ক কোনো ইস্যুতে আমাদের সহায়তা পাবে না।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন এরদোগান। তার এমন কথার পরিপ্রেক্ষিতে কোনো মন্তব্য করেনি সুইডেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী টোবিয়াস বিলস্ট্রম বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এরদোগান তার বক্তব্যে কী বলেছে, তিনি সেটি বুঝতে চান। ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে আঙ্কারার সঙ্গে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের মধ্যে বিদ্যমান চুক্তিকে স্টকহোম সম্মান করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোয় যোগদানের আবেদন করে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। আবেদনটি করা হয় ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর। নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার নিয়মটি সব সদস্যের মতের ওপর ভিত্তি করে। অর্থাৎ, সব সদস্য রাষ্ট্র যদি ইতিবাচক হয়, তবেই সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোয় যোগ দিতে পারবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি সুইডেনের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সুইডেনের ন্যাটোয় যোগ দিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইসের কাছে জানতে চেয়েছেন তার দেশের সাংবাদিকরা। সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি ধর্মভীরু মানুষের কাছে তাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পুড়িয়ে দেওয়া অত্যন্ত অসম্মানজনক।
সূত্র: আল জাজিরা
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩
এমজে