তেহরানের দক্ষিণে অবস্থিত ইসফাহানে একটি সামরিক কারখানায় বেশ কয়েকটি ড্রোন হামলার খবর দিয়েছে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। যদিও তাদের দাবি, কেন্দ্রীয় শহরটিতে হামলাগুলো ব্যর্থ হয়েছে।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় ইরানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ’র এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় একটি ড্রোন বিমান প্রতিরক্ষার মাধ্যমে আটকে ফেলা হয়। আরও দুটি প্রতিরক্ষা ফাঁদে পড়ে বিস্ফোরিত হয়। যারা হামলাটি চালিয়েছিল, তারা ব্যর্থ। একটি কারখানার ছাদে সামান্য ক্ষতি হওয়া ছাড়া বড় কিছু ঘটেনি। কেউ-ই হতাহত হননি।
এ হামলার পেছনে কারা জড়িত, বা কাদের সন্দেহ করা হচ্ছে তা জানায়নি ইরানি মন্ত্রণালয়। কিন্তু বলেছে, সন্ত্রাসীরা আমাদের স্থাপনা ও মিশনকে প্রভাবিত করতে পারেনি। তাদের এ ধরনের অন্ধ পদক্ষেপ আমাদের দেশের অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় প্রভাব ফেলতে পারবে না।
আইআরএনএ’র খবরে আরও বলা হয়েছে, ইসফাহানে ড্রোন হামলার খবরটি আসে যখন উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাব্রিজের কাছে একটি শিল্প অঞ্চলের তেল শোধনাগারে আগুন লাগে। আগুনের কারণ জানা যায়নি। দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
গত কয়েক বছরে ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও শিল্প স্থাপনার আশপাশে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ এবং আগুনের ঘটনা ঘটেছে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলমান ছায়াযুদ্ধের মধ্যে ঘটনাগুলো ঘটে। তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিরোধের কারণে ঘটনাগুলো ঘটে থাকতে পারে।
ইসরায়েল বলছে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চাইছে। তবে তেহরান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
২০২২ সালের জুলাই মাসে ইরান দাবি করেছিল, তাদের নিরাপত্তা রক্ষীরা ইসরায়েলের জন্য কাজ করা কুর্দি যোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত একটি নাশকতাকারী দলকে আটক করেছে। ইসফাহানে একটি সংবেদনশীল প্রতিরক্ষা শিল্প কেন্দ্র উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল দলটির।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
এমজে