পাকিস্তানের পেশোয়ারে পুলিশ লাইনস এলাকার মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০০ -তে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার দুপুরের দিকে হামলাটি ঘটে।
হতাহতদের লেডি রিডিং হাসপাতালে (এলআরএইচ) নেওয়া হয়েছে। এই হাসপাতালের মুখপাত্র মোহাম্মদ অসিম বলেন, ১০০টি মরদেহ আনা হয়েছে। আহত ৫৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে সাতজনকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আহতদের অধিকাংশই বিপদমুক্ত, আহত সবাইকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার পেশোয়ারের রেড জোন এলাকায় ওই মসজিদে বিস্ফোরণের পর দিন শেষে ৫৯ জনের প্রাণহানির খবর জানা যায়, যাদের অধিকাংশই পুলিশ কর্মকর্তা। এই ঘটনায় দেড় শতাধিক লোক আহত হন।
জোহরের নামাজ শুরু হওয়ার পরপরই বিস্ফোরণটি ঘটে। শক্তিশালী এই বিস্ফোরণে দেয়ালের আংশিক ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ছাদ ধ্বসে পড়ে।
পেশোয়ার ডিভিশন কমিশনার রিয়াজ মেহসুদ বলেন, ঘটনাস্থলে উদ্ধার কার্যক্রম এবং অনুসন্ধান অভিযান সমাপ্ত হয়েছে।
পেশোয়ার পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ ইজাজ খান বলেন, ৯০ শতাংশেরও বেশি ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্য। ওই মসজিদে নামাজের জন্য ৩০০ থেকে ৪০০ লোক ছিলেন।
বিস্ফোরণ থেকে বেঁচে যাওয়া ওয়াজাহাত আলি নামে ২৩ বছর বয়সী পুলিশ কনস্টেবল এএফপিকে বলেন, বেঁচে থাকার কোনো আশা ছিল না। ধ্বংসস্তূপের নিচে একটি মরদেহের সঙ্গে সাত ঘণ্টা ছিলাম।
এই হামলার পর রাষ্ট্রবিরোধী সব শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলের দিকে কেপি ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) মোয়াজ্জেম জাহ আনসারি পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এখন সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন হলো কীভাবে আত্মঘাতী হামলাকারী পুলিশ লাইন্সে প্রবেশ করে মসজিদে গেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৩
আরএইচ