কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি, কোয়ান্টাম কম্পিউটার ও কোয়ান্টাম সেন্সরের উন্নয়নের দুয়ার খুলে দেওয়া কাজের জন্য এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। এরা হলেন ব্রিটেনের জন ক্লার্ক, ফ্রান্সের মিশেল ডেভোরে এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন মার্টিনিস।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোর) সুইডেনের স্টকহোমে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে যুগান্তকারী গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনজনকে এই পুরস্কারে ভূষিত করে।
কমিটির পক্ষ থেকে সংবাদ সেম্মলেন বলা হয়, আজকের দিনে এমন কোনো উন্নত প্রযুক্তি নেই যা কোয়ান্টাম মেকানিকসের ওপর নির্ভর করে না—মোবাইল ফোন, ক্যামেরা থেকে শুরু করে ফাইবার অপটিক কেবল পর্যন্ত সবকিছুতেই এর প্রয়োগ রয়েছে।
এই তিন বিজয়ী এক কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা অর্থ পুরস্কার ভাগ করে নেবেন।
বিজয়ীদের মধ্যে জন ক্লার্ক যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজে জন্মগ্রহণ করেন এবং বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কলে ক্যাম্পাসে কর্মরত। মিশেল ডেভোরে ফ্রান্সের প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনিও যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। আর জন মার্টিনিস যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্তা বারবারা ক্যাম্পাসে অধ্যাপনা করছেন।
নোবেল কমিটির এই পুরস্কারের মধ্য দিয়ে মূলত ১৯৮০-এর দশকে এই তিন বিজ্ঞানীর বৈদ্যুতিক সার্কিটের ওপর পরিচালিত যুগান্তকারী পরীক্ষাগুলোই স্বীকৃতি পেল।
আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে সুইডেনের স্টকহোমে জাঁকালো আয়োজনে বিজয়ীদের হাতে নোবেল পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
গত বছর পদার্থের নোবেল পেয়েছিলেন ‘মেশিন লার্নিং’র দুই পথিকৃত যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী জন জে হপফিল্ড ও কানাডার গবেষক জেওফ্রে ই হিন্টন।
এইচএ