পাকিস্তানের বেশিরভাগ পাম্প থেকে পেট্রোল ‘উধাও’ হয়ে গেছে। তরল গ্যাস বা গ্যাসোলিনও সহজে পাওয়া যাচ্ছে না।
দেশটির জাতীয় দৈনিক ডন জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে এ সংকট দেখা দিয়েছে। পাকিস্তান পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য সচিব খাজা আতিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আতিফ বলেন, অল্প কয়েকটি সিএনজি স্টেশনে গ্যাসের সরবরাহ আছে। কিন্তু দেশের সবগুলো শহরে তরল গ্যাস বা গ্যাসোলিন অপ্রতুল। সব শহরের অধিকাংশ পাম্পে পেট্রোল নেই। স্টেশনগুলোও প্রায় বন্ধ। প্রয়োজনীয় জ্বালানি পাচ্ছে না সিএনজিচালিত মোটরযান মালিক-চালকরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশে আর ২০ দিন চলার মতো জ্বালানি তেলের মজুদ আছে বলে জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের জ্বালানি মন্ত্রী মুসাদিক মালিক। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে যারা ভুয়া তথ্য প্রচার করবে বা বাজারে যদি কোনো ডিলার অথবা কোম্পানি কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যদিও এ হুঁশিয়ারির পরই পাকিস্তানের খোলা বাজার থেকে পেট্রোল হাওয়া হয়ে যায়। এ অবস্থায় একে অপরকে দুষছে দেশটির পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিপিডিএ) ও জ্বালানি সরবরাহকারী ব্যবসায়ীদের সংগঠন অয়েল মার্কেটিং কোম্পানিজ (ওএমসিএস)।
পিপিডিএ বলছে, এ সংকটের জন্য জ্বালানি সরবরাহকারী ব্যবসায়ীরা দায়ী। তারা দেশের পাম্প ও গ্যাস স্টেশনগুলোয় প্রয়োজনীয় সরবরাহ পাঠাতে ব্যর্থ হওয়ায় এ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। আর ওএমসিএস বলেছে, তারা সঠিক নিয়মে সরবরাহ পাঠিয়েছে। মূল সমস্যা খুচরা ব্যবসায়ীদের।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
এমজে