তুরস্কের আন্তাকিয়া শহরের বাসিন্দা হাসান গুনতেকিন। ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন তার স্ত্রী, সন্তান ও শাশুড়ি।
ভূমিকম্পের ষষ্ঠ দিনে হাসান গুনতেকিন আল জাজিরাকে বলেন, ‘আমার তিন সন্তানকে উদ্ধার করতে হবে। তাদের মধ্যে যদি একজনও বেঁচে থাকে, তাহলে সে-ই আমার বেঁচে থাকার আশা যোগাবে। ’
‘অন্যথায়, আমার বেঁচে থাকার কোনো মানে নেই। আমি কী করব জানি না। ঈদে কে আমাকে বাবা বলে ডাকবে?’
আন্তাকিয়ার এই বাসিন্দা বলেছেন, ভূমিকম্পের পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় তুর্কি সরকার ‘ব্যর্থ’ হয়েছে।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা এত অসংগঠিত (তুর্কি সরকার) যে কিছুতেই কাজ করতে পারেনি।
তিনি বলেন, আমি এখানে (দুর্যোগ কবলিত এলাকায়) কোনো কর্মকর্তাকে দেখিনি, না সরকার থেকে, না মেয়র অফিসের। আমি কোনোভাবেই এখন আর তাদের দেখতে চাই না। তারা এখানে আসে না, কারণ তারা জানে আমরা তাদের দেখতে চাই না।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পের পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়েছে গেছে। ভূমিকম্পে দেশ দুটিতে নিহত ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের জীবিত উদ্ধারে এখনো অভিযান চললেও সেই আশা অনেকটা ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩
এমএইচএস