আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সীমান্ত অঞ্চল নাগর্নো-কারাবাখ নামে পরিচিত। সেখানে আছে লাচিন করিডোর।
রোববার (৫ মার্চ) উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে দুই দেশের মোট পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
আর্মেনিয়া জানিয়েছে, তাদের তিন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে আজারবাইজানের দাবি, তাদের দুই সেনা মারা গেছেন।
আজারবাইজানের দাবি, সীমান্ত অঞ্চলে তারা একটি আর্মেনিয়ার গাড়ি ধাওয়া করে। তাদের সন্দেহ ছিল, ওই গাড়িতে করে বেআইনিভাবে অস্ত্র পাচার করা হচ্ছে। গাড়িটি থেকে আজারবাইজানের সেনার ওপর গুলি করা হয়। জবাবে পালটা গুলি চালায় আজারবাইজানও।
অন্যদিকে, আর্মেনিয়ার দাবি, সীমান্ত অঞ্চল দিয়ে তাদের পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের একটি গাড়ি যাচ্ছিল। আজারবাইজানের সেনা বিনা প্ররোচনায় তাদের ওপর গুলি করতে শুরু করে। পরে ওই কর্মকর্তারাও জবাব দিতে বাধ্য হোন।
নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে দুই দেশের লড়াইয়ের ইতিহাস দীর্ঘ। ২০২০ সালে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে রীতিমতো যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছিল। শেষ পর্যন্ত রাশিয়া ও অন্যান্য দেশের মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বন্ধ হয়।
যদিও আর্মেনিয়ার বক্তব্য, তাদের কাছ থেকে কার্যত নাগর্নো-কারাবাখ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে দেশের ভিতরে বিক্ষোভও হয়েছে।
নাগর্নো-কারাবাখে মূলত আর্মেনিয়ার অধিবাসীদের বসবাস। এখনো সেখানে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার আর্মেনীয় থাকেন। তাদের সঙ্গে আর্মেনিয়ার মূল ভূখণ্ডের যোগসূত্র লাচিন করিডোর।
আর্মেনিয়ার অভিযোগ, বেআইনি কয়লাখনি আছে, এই অভিযোগে, সেখানে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করছেন বেশ কিছু পরিবেশ কর্মী। ওই পরিবেশ কর্মীদের আজারবাইজান পাঠিয়েছে।
সূত্র- ডয়েচে ভেলে
বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২৩
এমএইচএস