পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রধান ইমরান খানের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী ৮ জুন পর্যন্ত করেছেন দেশটির হাইকোর্ট
মঙ্গলবার (১৬ মে) সহিংসতা ও রাষ্ট্রদ্রোহে প্ররোচনা সংক্রান্ত দুটি মামলায় তার এ জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
মামলা দুটি হলো-রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা এবং পিএমএল-এন নেতা মহসিন রাঞ্জাকে পিটিআই কর্মীদের দ্বারা হেনস্থা করা।
আইনজীবীদের যুক্তি-তর্ক শোনার পর প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধানের জামিন ৮ জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন। এছাড়া সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে আদালতে হাজিরা দেওয়া থেকেও অব্যাহতি দেন।
বিচারপতি ফারুক আদালত প্রাঙ্গণ থেকে খানের গ্রেপ্তার সংক্রান্ত একটি প্রথম তথ্য প্রতিবেদন নিবন্ধনের বিষয়েও জিজ্ঞাসা করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিক্রিয়ায় জানান, এ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় মুলতুবি রয়েছে।
গত সপ্তাহে ৭০ বছর বয়সী ইমরান খানকে জামিন দেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। এ সময় আদেশে তাকে ৯ মে এর পরে নথিভুক্ত কোনো মামলা গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়।
ইমরান খান অভিযোগ করেন, গত বছরের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তাকে বেশ কয়েকটি মামলায় জড়ানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে করা সব মামলাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এদিকে, লাহোর হাইকোর্টে (এলএইচসি) মঙ্গলবার পাঞ্জাব প্রদেশে তার বিরুদ্ধে নথিভুক্ত সব মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন ইমরান খান।
গত সপ্তাহে আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করার পর তার সমর্থকদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে গোটা পাকিস্তান।
আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় গত ৯ মে ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট তাকে দুই সপ্তাহের জামিন দেন।
সুপ্রিম কোর্ট ইমরান খানের গ্রেপ্তারকে বেআইনি ঘোষণা করে তাকে ইমলামাবাদ হাইকোর্টে হাজির করার নির্দেশ দেন।
খান তার নেতৃত্বের অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর গত বছরের এপ্রিলে ক্ষমতা থেকে অপসারিত হন।
বিষয়টিকে ইমরান খান রাশিয়া, চীন ও আফগানিস্তানের বিষয়ে তার স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতির সিদ্ধান্তের কারণে তাকে লক্ষ্য করে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ষড়যন্ত্রের অংশ বলে অভিযোগ করেন।
সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৩
জেএইচ