ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

তুরস্ক থেকে শরণার্থীদের তাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কিলিচদারোগলুর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২৩
তুরস্ক থেকে শরণার্থীদের তাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কিলিচদারোগলুর কামাল কিলিচদারোগলুর সমর্থকরা

তুরস্কে বিরোধী নেতা ও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামাল কিলিচদারোগলু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আসন্ন ২৮ তারিখের নির্বাচনে জিতলে তিনি ১০ লাখ শরণার্থীকে তাড়িয়ে দেবেন।

১৪ মে তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থী এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করতে পারেননি।

আর তাই দ্বিতীয় দফা ভোট হতে যাচ্ছে। প্রথম দফায় সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থী ছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

অতিরিক্ত ১০ লাখ অনিয়মিত ‘অভিবাসী’ দেশে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ায় সরকারকে অভিযুক্ত করে বুধবার উসকানিমূলক মন্তব্য করেছেন বিরোধী ছয়টি দলের জোটের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামাল কিলিচদারোগলু।

এই অর্থনীতিবিদ ও দীর্ঘদিনের আমলা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ৮৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশে অভিবাসীর সংখ্যা বেড়ে ৩০ মিলিয়ন পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। তবে এই অঙ্কের কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।

কিলিচদারোগলু বৃহস্পতিবার বলেছেন, এরদোয়ান তুরস্কের সীমান্ত ও সমান রক্ষা করেননি।  

তিনি বলেন, জেনেশুনে আপনি ১০ মিলিয়ন শরণার্থী এনেছেন। আমি এখানে ঘোষণা করছি, শিগগিরই ক্ষমতায় এসে সব শরণার্থীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব।

২০১১ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ তার শাসনের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা বিদ্রোহ দমন করতে শুরু করলে এবং এর ফলে যুদ্ধ শুরু হলে সে দেশের নাগরিকরা তুরস্কে পালাতে থাকেন।

সিরিয়ার শরণার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নিয়েছে তুরস্ক। প্রায় ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন দেশটিতে নিবন্ধিত।

শুরুতে তুরস্ক শরণার্থীদের স্বাগত জানালেও এখন দেশটি অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মুদ্রা লিরার দাম কমে গেছে এবং মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। সিরিয়া এবং অন্যান্য দেশের শরণার্থী ও অভিবাসীদের কারণে দেশটির জনগণ ক্ষুব্ধ।  

শরণার্থীদের স্বাগত জানানো এবং অর্থনৈতিক সংকট সরকারকে আক্রমণের ক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদীদের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। কিলিচদারোগলুর শরণার্থী নিয়ে মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২৩
আরএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।