অনলাইন গেম পাবজি খেলতে গিয়ে কথোপকথনে প্রেম। আর সেই প্রেমের পরিণতি টানতে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে ভারতে আসেন প্রেমিকা সীমা গুলাম হায়দার (২৭)।
কিন্তু বেশি দিন সুখের সংসার করতে পারেননি তারা। এ প্রেমযুগল এখন জেলবন্দি।
এ ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, গত ৪ জুলাই (মঙ্গলবার) শচীন-সীমাকে গ্রেপ্তার করে নয়ডার থানা পুলিশ। সীমার অপরাধ অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ।
ইতোমধ্যে এ যুগলের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশ জানিয়েছে, মামলাটি নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছেন তারা।
গত মে মাসে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে দিল্লি সীমানা লাগোয়া উত্তর প্রদেশের শহর নয়ডায় একটি বাড়িতে ওঠেন সীমা।
সীমার বিয়ে হয় ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের বাসিন্দা গুলাম হায়দারের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। সেই ঘরে চার সন্তান রয়েছে তার। এর মধ্যে একটি ছেলে ও তিনজন কন্যাসন্তান।
২০১৯ সালে কাজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যান গুলাম হায়দার। এসময় একাকিত্ব ঘোঁচাতে পাবজি খেলা শুরু করেন সীমা। সেই সূত্রে পরিচয় হয় ভারতের শচীনের সঙ্গে।
শচীন ভারতের বৃহত্তর নয়ডার রবুপুড়া নামে একটি ছোট শহরের বাসিন্দা। একটি মুদিদোকানে কাজ করেন তিনি। রবুপুড়াতেই একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে সীমা ও তার চার সন্তানকে নিয়ে থাকতেন তিনি।
সীমা বলেন, ‘আমি সাধারণত দিনে দুই থেকে তিন ঘণ্টা পাবজি খেলতাম। খেলতে খেলতেই শচীনের সঙ্গে পরিচয় হয়। একে অপরের মোবাইল ফোন নম্বর নিই। এরপর নিয়মিত কথা হতে থাকে। ’
সীমা ও শচীন সাংবাদিকদের বলেছেন, তারা বিয়ে করে একসঙ্গে থাকতে চান।
এদিকে পুলিশের কাছে সীমার স্বামী গুলাম হায়দারের অভিযোগ, পাবজি খেলতে খেলতে তার স্ত্রী সীমা বিপথগামী হয়েছেন। ঘরবাড়ি ও স্বর্ণালংকার বিক্রি করে সন্তানদের নিয়ে পালিয়ে ভারতে গেছেন।
যদিও সীমা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তিন বছর ধরে প্রেমের পর চলতি বছরের মার্চে নেপালে সীমা-শচীন প্রথম দেখা করেন। সেখানে একটি আবাসিক হোটেলে কয়েক দিন থাকার পর যে যার দেশে ফিরে যান।
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২৩
এসএএইচ