ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

তোশাখানা দুর্নীতি মামলার রায়ে ‘গুরুতর ত্রুটি’ ছিল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২৩
তোশাখানা দুর্নীতি মামলার রায়ে ‘গুরুতর ত্রুটি’ ছিল

তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, সেটিতে ‘গুরুতর ত্রুটি’ ছিল বলে জানিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ। গত ৫ আগস্ট এ মামলায় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৩ বছর কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিলেন জেলা ও দায়রা আদালত।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ওমর আতা বান্দিয়াল তার তার পর্যবেক্ষণে ইমরানের রায়ের ব্যাপারে এ মন্তব্য করেছেন।

প্রধান বিচারপতি ওমর আতা বান্দিয়াল বলেছেন, দায়রা আদালত একদিনেই যে রায় দিয়েছে, তা সঠিক ছিল না। যে কারণেই প্রথম দৃষ্টিতেই রায়টির ত্রুটি ধরা পড়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের এই বেঞ্চে বিচারপতি ওমর আতার সঙ্গে আছেন বিচারক জামাল খান মান্দোখালিল ও বিচারক সৈয়দ মাজহার আলী আকবর নকবী। তাদের বেঞ্চ গত ৪ আগস্ট ইসলামাবাদ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ইমরান খানের আপিলটি আমলে নিয়েছে।

বুধবার (২৩ আগস্ট) এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট তোশাখানা মামলা গ্রহণযোগ্যতার যে রায় দায়রা আদালত দিয়েছে সেটি ‘অবৈধ’ উল্লেখ করেছিলেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতকেও নির্দেশ দেওয়া হয়, পিটিআই চেয়ারম্যান মামলা চলমান রাখার বিরুদ্ধে যে আপিল করেছেন, সেটির ব্যাপারে যেন শুনানি করা হয়। কিন্তু মামলাটির অন্য আদালতে স্থানান্তরের আপিলটি প্রত্যাখ্যান করা হয়।

অথচ, গত ৫ আগস্ট বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ারের দায়রা আদালত তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।

গত বুধবার এ নিয়ে প্রশ্ন করেন পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট। ইমরান খান এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে সাক্ষী উপস্থাপন করতে চেয়েছিলেন। দায়রা আদালত কেন সেটিকে অগ্রাহ্য করলেন সেটিও প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের। এ আদালত বলেন, যে স্বাক্ষ্য ইমরান খান উপস্থাপন করতে চেয়েছিলেন। , তা রেকর্ড না করেই কেন দায়রা আদালত তাড়াহুড়ো করে রায় ঘোষণা করলেন।

এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ সদস্য বিচারক সৈয়দ মাজহার আলী আকবর নকবী বলেছেন, দায়রা আদালত ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করেছেন।

প্রধান বিচারপতি ওমর আতা বান্দিয়াল বান্দিয়ালের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ তাদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এ বিষয়ে রায় দেওয়া পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করবেন। এরপর প্রয়োজন হলে ব্যবস্থা নেবেন।

পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান তোশাখানা দুর্নীতি মামলার দণ্ড বাতিলের জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আপিল করেছেন। আইনজীবীর মাধ্যমে করা এ আপিলের ওপর শুক্রবার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মামলা দায়ের করা নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী উপস্থিত না হওয়ায় শুনানি হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ইমরানের আইনজীবীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আদালত অবশ্য আগামী সোমবার (২৮ আগস্ট) শুনানির নতুন তারিখ ঠিক করেছেন।

সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।