ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কেরমানশাহে একটি হাসপাতালে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে তেহরান। হামলায় হাসপাতালের ছাদ ধসে পড়ে এবং ভবনের একাধিক অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে সরাসরি আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধ বলে আখ্যায়িত করেছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ফারস ও তাসনিমের প্রকাশিত ভিডিও বিশ্লেষণ করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, কেরমানশাহে অবস্থিত ফারাবি হাসপাতালের ছাদের একটি বড় অংশ ধসে পড়ে এবং হাসপাতালের বিভিন্ন ইউনিটে গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি হয়।
তেহরানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস্মাইল বাঘাঈ তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে বেসামরিক স্থাপনা, বিশেষ করে হাসপাতাল ও আবাসিক এলাকাগুলোকে টার্গেট করেছে।
আল জাজিরাকে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, এই হামলা কেবল একটি মানবিক বিপর্যয় নয়; এটি আন্তর্জাতিক আইনের ঘোরতর লঙ্ঘন এবং স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ। ইতিহাস এই অন্যায়ের বিচার করবে, আর ইসরায়েলি শাসনের মিত্র রাষ্ট্রগুলোর জন্য এটি হয়ে থাকবে এক চিরন্তন লজ্জা।
তবে এসব অভিযোগ নাকচ করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) সিএনএনকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় জানায়, তারা ইরানের কোনো হাসপাতালকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর বিষয়ে অবগত নয়।
তাসনিমের তথ্যমতে, হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছাদের ধ্বংসস্তূপ ও ভাঙা কাচের আঘাতে ইউনিটের কয়েকজন রোগী আহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে এখনও জাতিসংঘ কিংবা কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এমজে