ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মানবাধিকার ও মুক্ত গণমাধ্যমের বিষয়ে মোদিকে বলেছি: বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩
মানবাধিকার ও মুক্ত গণমাধ্যমের বিষয়ে মোদিকে বলেছি: বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, সদ্যসমাপ্ত ভারত সফরে তিনি সেদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং মুক্ত সংবাদমাধ্যমের প্রয়োজনীয়তার মতো বিষয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার আলোচনায় তুলেছিলেন।

জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতেই বাইডেন ভারতে গিয়েছিলেন।

ওই সম্মেলনের অবকাশেই তিনি মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সম্মেলন শেষ হওয়ার আগেই তিনি ভারত থেকে ভিয়েতনামের উদ্দেশে রওনা দেন।

ভিয়েতনামের হ্যানয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ওই মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি আরও জানান, ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে কীভাবে আরও শক্তিশালী করে তোলা যায়, তা নিয়ে মোদির সঙ্গে তার ‘বিশদ আলোচনা’ হয়েছে।

এর আগে হোয়াইট হাউস সূত্রে বলা হয়েছিল, দিল্লিতে মোদি-বাইডেন বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজনের অনুরোধ জানানো হলেও ভারত তাতে রাজি হয়নি।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান আরও জানান, তারা প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈঠকের সময় আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন না হোক, অন্ততপক্ষে একটি ‘প্রেস পুল স্প্রে’-র ব্যবস্থা করারও আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন – কিন্তু সেই অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করা হয়।

এই ধরনের ‘প্রেস পুল স্প্রে’ হোয়াইট হাউসে নিয়মিতই হয়, যেখানে সাংবাদিকরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বা সফররত বিশ্বনেতাদের প্রশ্ন করার সুযোগ পান।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র অবশ্য এদিন বিবিসিকে জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভারতে আসা কোনো পূর্ণাঙ্গ দ্বিপাক্ষিক সফর ছিল না। কাজেই শুধু আলাদা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজনেরও কোনো প্রশ্ন ছিল না।

তবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিজেই এদিন ভিয়েতনামে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ভারতে যেভাবে মিডিয়া বা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আচরণ করা হচ্ছে, তাতে তার প্রশাসন মোটেই সন্তুষ্ট নয়।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমশ যে অবনতি হচ্ছে, অধিকার আন্দোলনের কর্মীরা বহুদিন ধরেই সে কথা বলে আসছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবশ্য এদিন পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন, ভারতের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তারা সন্তুষ্ট নন।

হ্যানয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আপনারা জানেন, মানবাধিকারকে মর্যাদা দেওয়া যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা আমি সব সময় বলে থাকি। আর সেখানেও (দিল্লিতে) তা আমি উত্থাপন করেছি।  

তিনি বলেন, একটি সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী দেশ গড়ে তুলতে সুশীল সমাজ ও মুক্ত সংবাদমাধ্যম যে কত বড় ভূমিকা পালন করতে পারে, সেটিও আমি মোদিকে বলেছি।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার (আরএসএফ) গত মে মাসে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডমের যে সর্বশেষ সূচক বা ইনডেক্স প্রকাশ করেছে, তাতে ভারতের অবস্থান ১১ ধাপ নেমে গেছে। ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান এখন ১৬১তম।

বিবিসি অবলম্বনে

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।