সৌদি আরব ও রাশিয়া উত্তোলন কমানোর পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়তে শুরু করেছিল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। এই খাতে সবচেয়ে বড় দুই সরবরাহকারীর এমন সিদ্ধান্ত তেল দাম বাড়ার ক্ষেত্রে এখনো জ্বলানি জুগিয়ে যাচ্ছে।
গত বুধবারের(১৩ সেপ্টেম্বর) তুলনায় বৃহস্পতিবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দুই বেঞ্চমার্ক ক্রুড এবং ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারন্যাশনাল (ডব্লিউটিআই) উভয়ের দামই বেড়েছে। খবর রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড বিক্রি হয়েছে ৯৩ দশমিক ৭০ ডলারে এবং প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই বিক্রি হয়েছে ৯০ ডলারে। যা আগের দিনের তুলনায় প্রতি ব্যারেলে যথাক্রমে ১ দশমিক ৮২ ডলার এবং ১ দশমিক ৬৪ ডলার বেড়েছে।
অধিকাংশ পশ্চিমা বিশ্লেষকরা বলছেন সৌদি ও রাশিয়ার পরিকল্পিত ভাবে তেলের দাম বাড়াচ্ছে। জ্বালানির বাজার বিশ্লেষণকারী সংস্থা পিভিএমের কর্মকর্তা তামাস ভারগা এর মতে বাজারের এই চাঙাভাব অস্বাভাবিক। এটি পরিকল্পিত কৌশল এবং এটি যারা করছে, তারা আসলে বাজার নিয়ে খেলছে।
আরেক বিশ্লেষণকারী সংস্থা অ্যাগেইন ক্যাপিটাল জানায়, অর্থনীতির প্রাণচাঞ্চল্যের কারণে নয় বরং সরবরাহের সংকট থেকেই জ্বালানির বাজার এই চাঙাভাব এসেছে । রাশিয়া ও সৌদিই এই সংকটের জন্য দায়ী। এমন এক সময়ে তারা তেলের উত্তোলন হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যখন শীতের কারণে আর কিছুদিনের মধ্যেই পশ্চিমা দেশগুলোতে তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।
অভ্যন্তরীণ সংকটের কারণে চীন এবং ডলার সাশ্রয়ের জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলো তেল কেনা কমিয়ে দেওয়ায় গত বছর জুন মাস থেকে অপরিশোধিত তেলের বাজারে মন্দাভাব শুরু হয়। এতে আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় তেল উত্তোলনকারী দেশগুলো।
বাংলাদেশ সময়:১১২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩
এমএম