সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, তার দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে।
ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
উপসাগরীয় কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে। এ ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ছিল যুক্তরাষ্ট্র। উপসাগরীয় দেশগুলোর পথেই হাঁটতে যাচ্ছে সৌদি আরব। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সৌদির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের চাপ আছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে ফক্সের সঙ্গে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যুবরাজ সালমান বলেন, ‘প্রতিদিনই আমরা আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছি। ’
সৌদি-ইসরায়েলের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। এই প্রেক্ষাপটে সালমানের সাক্ষাৎকারে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিষয়ে ভালোই অগ্রগতির তথ্য উঠে এলো, যা মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিকে নতুন আকার দিতে পারে।
স্বাভাবিকীকরণ আলোচনা হলো জটিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু, যার মধ্যে ফিলিস্তিনিদের জন্য সম্ভাব্য ইসরায়েলি ছাড়, সেইসঙ্গে মার্কিন নিরাপত্তা গ্যারান্টি এবং রিয়াদ যে বেসামরিক পারমাণবিক সহায়তা চাইছে, সেই আলোচনাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ফক্সের বিশ্বের প্রতিবেদন অনুষ্ঠানে সৌদি যুবরাজ বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যু রিয়াদের কাছে ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’। স্বাভাবিককরণ চুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই অংশটির সমাধান করতে হবে। ’
সাক্ষাৎকারে সৌদির যুবরাজ ইংরেজিতে বলেন, ‘আমরা কোথায় যাচ্ছি, তা দেখতে হবে। আমরা আশা করি, এমন একটি জায়গায় পৌঁছাতে পারব, যা ফিলিস্তিনিদের জীবনকে সহজ করবে, আর ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্য একটি ক্রীড়নক হিসেবে পাবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩
আরএইচ