গাজায় আল-শিফা হাসপাতালে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে অকাল জন্ম নেওয়া বেশ কয়েকটি শিশু। গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন এসব শিশুর কয়েকজনকে দক্ষিণের দিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের অভাবে থাকা আল-শিফা হাসপাতালে ইনকিউবেটর বঞ্চিত ৩৯ শিশুর মধ্যে ৩১ শিশুকে সরানো হয়েছে। গেল বুধবার ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালটিতে অভিযান চালায়।
হাসপাতালের মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাকুত সাংবাদিকদের বলেন, অকাল জন্ম নেওয়া শিশুকে... তিন চিকিৎসক ও দুই নার্সসহ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের মিশরে প্রবেশ করানোর প্রস্তুতি চলছে।
আল জাজিরার সংবাদদাতা তারেক আবু আজুম দক্ষিণ গাজার নাসের হাসপাতাল থেকে জানান, এ শিশুরা দক্ষিণাঞ্চলের হাসপাতালের পথে রয়েছে। ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ছয়টি অ্যাম্বুলেন্সে তাদের নেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, শিশুদের স্থানান্তরে সমন্বয় করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ।
ইসরায়েলি বাহিনী আল শিফা হাসপাতালের চিকিৎসক, রোগী এবং সেখানে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত লোকেদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। চিকিৎসক ও ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা শনিবার আল জাজিরাকে বলেন, কিছু লোককে বন্দুকের মুখে সরে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে।
ডব্লিউএইচও টিম শনিবার হাসপাতালটিতে যায়। টিমটি জানায়, এখনো সেখানে কয়েকশ রোগী রয়েছেন। অনেকের অবস্থা গুরুতর। কেউ কেউ গভীর ক্ষত নিয়ে ট্রমায় ভুগছেন। মেরুদণ্ডে আঘাত পাওয়া রোগীও রয়েছেন, তাদের সরিয়ে নেওয়া যাচ্ছে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আল-শিফা হাসপাতালকে মৃত্যুপুরী আখ্যা দিয়ে বলেছে, যে রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে তারা কথা বলেছিল, তারা নিজেদের নিরাপত্তা এবং শারীরিক অবস্থা নিয়ে ভয়ে ছিলেন। সরিয়ে নেওয়ার জন্য তারা অনুরোধ করেছিল।
চিকিৎসকরা জানান, অভিযানের সময় চার শিশু মারা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৩
আরএইচ