গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরায়েল হামলা চালিয়ে তিন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বানি সুহেইলা এলাকায় একটি ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
অধিকৃত জেরুজালেমের উত্তরে আর-রাম শহরে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে একজন আহত হয়েছেন। মধ্য গাজার পূর্ব বুরেইজ শিবিরে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অপর একজনের মৃত্যু ঘটে দুদিন আগে গাজা সিটির কলেজ অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কাছে। ওই ব্যক্তিকেও ইসরায়েলিরা গুলি করে হত্যা করেছে।
নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ও ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির পর গত কয়েক দিনে ইসরায়েল অন্তত ২৩ জনকে হত্যা করেছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বিচ্ছিন্নতা প্রাচীরের সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলা বৃদ্ধি করেছে। ফলে আবারও হতাহত বাড়তে শুরু করেছে। জেনিন জেলার কাফর রাই শহরে ইসরায়েলি সেনা ও দখলদাররা জলপাই চাষিদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
কাফর রাই এলাকার মেয়র ঘাসান দারাঘমেহ ওয়াফা নিউজকে জানিয়েছেন, দোতান বসতি থেকে আসা বসতি স্থাপনকারীরা ইসরায়েলি সেনাদের সুরক্ষায় নাগরিকদের ওপর গুলি ও কাঁদানে গ্যাস গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। যারা এতে আহত হয়েছে তারা মূলত চাষি। তারা তাদের জমি থেকে জলপাই সংগ্রহ করছিলেন।
এদিকে, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি গাজার কাছে ইসরায়েলি হেফাজতে থাকা ৩০ জন ফিলিস্তিনির লাশ হস্তান্তর করেছে। যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত মৃত ফিলিস্তিনিদের সর্বশেষ হস্তান্তর প্রক্রিয়া ছিল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কিছু মরদেহে স্পষ্টভাবে নির্যাতনের চিহ্ন ও সম্ভাব্য হত্যার প্রমাণ দেখা গেছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ২৯ নিহতের লাশ গাজার হাসপাতালে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ২২ জন উদ্ধারকৃত, তিনজন আহত অবস্থায় মারা গেছেন, এবং চারজন সাম্প্রতিক হামলায় নিহত।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামায় মোট ৬৭ হাজার ৯৬৭ জন নিহত ও ১ লাখ ৭০ হাজার ১৭৯ জন আহত হয়েছেন।
এমজে