চীনের নির্মাণাধীন বিমানবাহী রণতরী ফুজিয়ানের ক্যাটাপল্ট ব্যবস্থার পরীক্ষা শুরু করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। ক্যাটাপল্ট ব্যবস্থা হলো গতি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে যুদ্ধবিমানকে ঠেলে দেওয়ার প্রযুক্তি, যা বিমানবাহী রণতরী থেকে যুদ্ধবিমান উড্ডয়নে সাহায্য করে।
ক্যাটাপল্ট সংযুক্ত করা চীনা বিমানবাহী রণতরী নির্মাণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কারণ চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি তাদের আগের বিমানবাহী রণতরীগুলোতে স্কি জাম্প র্যাম্প ব্যবহার করে আসছে।
সোভিয়েত আমলে নির্মিত রাশিয়ান বিমানবাহী রণতরীতে স্কি জাম্প র্যাম্প দেখা যায়। ভারতীয় বিমানবাহী রণতরীগুলোতেও যুদ্ধবিমান উড্ডয়নে স্কি জাম্প ব্যবহার করা হয়। তবে মার্কিন এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারে একই কাজের জন্য ক্যাটাপল্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ক্যাটাপল্ট ব্যবস্থায় একটি যুদ্ধবিমান তার পূর্ণ লোড ক্যাপাসিটি নিয়ে উড্ডয়ন করতে পারে। এই ব্যবস্থার সর্বশেষ প্রযুক্তি হচ্ছে ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট, যেখানে পূর্বের বাষ্পচালিত ব্যবস্থার পরিবর্তে ম্যাগনেটিক শক্তি ব্যবহার করা হয়। চীন তাদের ফুজিয়ান এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারে ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট ব্যবহার করছে।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে ফুজিয়ান এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারে লাল রঙয়ের ক্যাটাপল্ট টেস্ট ট্রাক দেখা গেছে যা দিয়ে সাধারণত এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারের ক্যাটাপল্টের শক্তি পরীক্ষা করা হয়। সফল ভাবে শেষ করতে পারলে ফুজিয়ান হবে পৃথিবীর ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সংযুক্ত দ্বিতীয় এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার। প্রথমটি হল মার্কিন এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারে জেরাল্ড আর. ফোর্ড।
ফুজিয়ান বিমানবাহী রণতরীটি টাইপ০০৩ নামেও পরিচিত। ২০২২ সালে সাংহাইয়ের চ্যাং জিয়াংনান শিপইয়ার্ডে যার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। ক্যাটাপল্ট ব্যবস্থার পরীক্ষা বিমানবাহী রণতরীটির নির্মাণ কাজের শেষ হয়ে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৩
এমএম