ইসলামাবাদ হাইকোর্ট সোমবার পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা খানের রাষ্ট্রীয় উপহারের অবৈধ বিক্রি সংক্রান্ত মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত করেছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইমরান খানের আইনজীবী।
ইমরান খানকে তার ২০১৮-২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় রাষ্ট্রীয় দখলে থাকা ১৪০ মিলিয়ন রুপির (৫ লাখ ১ হাজার ডলার) বেশি মূল্যের উপহার বিক্রি করার জন্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারা আগস্টে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
জানুয়ারিতে একই অভিযোগে দেশের শীর্ষ দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) দ্বারা তদন্তের পর, খান এবং তার স্ত্রীকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
খানের আইনজীবী নাঈম পানজুথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে বলেন, ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) ১৪ বছরের কারাদণ্ডের রায় স্থগিত করা হয়েছে। জাতিকে অভিনন্দন। তোশাখানা এনএবি-র আপিলে ইমরান খান ও বুশরা বিবির শাস্তি স্থগিত করা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো ব্যাপকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইসলামাবাদ হাইকোর্টও খান ও তার স্ত্রীকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে খান এবং বুশরাকে মুক্তি দেওয়া অসম্ভব কারণ তারা অন্যান্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত।
ইসলামাবাদের একটি দুর্নীতি বিরোধী আদালত গত ৮ ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা প্রকাশের জন্য জানুয়ারিতে খানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন।
ফেব্রুয়ারিতে, খান এবং বুশরাকে পৃথকভাবে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানা করেন একটি আদালত। এ রায় দেওয়া হয়েছিল তাদের ২০১৮ সালের বিয়ে ইসলামিক আইন বিরোধী হওয়ার কারণে।
সূত্র: আরব নিউজ
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৪
জেএইচ